ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

আজ ঐতিহাসিক ৩১ মার্চ(ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৫:০৯ পিএম, ৩১ মার্চ ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৫:০৯ পিএম, ৩১ মার্চ ২০১৮ শনিবার

আজ ৩১ মার্চ। ১৯৭১ সালের এ’দিন প্রায় সব ফ্রন্টে পাকিস্তানী বাহিনীর আধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের সমন্বিত আক্রমনে পিছু হটতে বাধ্য হন মুক্তিযোদ্ধারা। তবে, চুয়াডাঙ্গায় বাঙালী বীরসেনারা পাকিস্তানী বাহিনীকে পরাস্ত করে অস্থায়ী রাজধানী ঘোষণায়, সাড়া ফেলে বিশ্ব গণমাধ্যমে। অন্যদিকে, পাকিস্তানী হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাব পাস করে ভারতের মন্ত্রিসভা।

গণহত্যা শুরুর পর লাঠিসোঠা, দা-বল্লম আর বিদ্রোহী বাঙালী সেনা, ইপিআর ও গোপন বাম দলের অস্ত্র দিয়ে সারা বাংলায় শুরু হয় পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে স্বতস্ফূর্ত প্রতিরোধ যুদ্ধ। তবে, ৩১ মার্চ পাকিস্তানী হানাদাররা অতিরিক্ত সৈন্য ও আধুনিক সমরসজ্জার মাধ্যমে বুঝিয়ে দেয় যুদ্ধের বাস্তবতা ও নির্মমতা। মুক্তিযোদ্ধারা দুর্গম ও সীমান্তবর্তী এলাকায় পিছিয়ে যায়। পাকিস্তানী বাহিনী গুড়িয়ে দেয় চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র। যেখান থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

পাকিস্তানীদের হত্যাযজ্ঞ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের পিছু হটার খবর ছাপিয়ে বিশ্ব গণমাধ্যমে আলোড়ন তোলে চুয়াডাঙ্গার সংবাদ। সেখানে আসাবুল হক জোয়ারদারের নেতৃত্বে মুক্তিসেনারা পাকিস্তানী বাহিনীকে সম্পূর্ণ পরাস্ত করে চুয়াডাঙ্গাকে অস্থায়ী রাজধানী ঘোষণা করে।

এদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন। তার আগেই বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা রেহমান সোবহান ত্রিপুরা থেকে বিমানে দিল্লি পৌঁছান। বন্ধু অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব পি এন হাক্সারসহ সংশ্লিষ্টদের জানান গণহত্যার ভয়াবহ খবর। এরপর ভারতের মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাকিস্তানী হত্যাযজ্ঞের নিন্দাপ্রস্তাব পাস হয়।