ভালুকায় বিস্ফোরণ
ক্ষতিপূরণের দাবিতে কুয়েটে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ
প্রকাশিত : ০৬:৩৫ পিএম, ৩১ মার্চ ২০১৮ শনিবার
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ময়মনসিংহের ভালুকায় গ্যাস বিস্ফোরণে নিহত চার শিক্ষার্থীর প্রত্যেকের পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়ে উপচার্যকে অবরুদ্ধ করেছেন তারা।
আজ শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেটের জরুরি সভা শুরু হয়। সভা চলার সময় দুপুর ১২টা থেকে নিজেদের দাবি আদায়ে প্রশাসনিক ভবন অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। ফলে উপাচার্যসহ জরুরি সিন্ডিকেট সভায় যোগ দেওয়া সবাই অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সবাই অবরুদ্ধ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে জরুরি সভা থেকে নিহত ওই চার শিক্ষার্থীর পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছিল সিন্ডিকেট।
কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা মনোজ কুমার জানান, ভালুকায় গ্যাস বিস্ফোরণে চার শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় আজ শনিবার সকালে সিন্ডিকেটের জরুরি সভা আহ্বান করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। এই সভায় নিহত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়াসহ ১০ দফা সিদ্ধান্ত হয়।
এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে-চার শিক্ষার্থীর মৃত্যু দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করে সিন্ডিকেট এটিকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করবে, এই ঘটনার জন্য দায়ী বাড়িটির মালিক ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা, চার শিক্ষার্থীর পরিবার চাইলে প্রতিটি পরিবার থেকে একজন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির ব্যবস্থা, রাষ্ট্রপতির কাছে পরিবারগুলোর জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়ে চিঠি পাঠানো, প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠানো ইত্যাদি।
এই সিদ্ধান্ত জানার পর শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে অবস্থান নেন এবং পাঁচ লাখ টাকার পরিবর্তে এক কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার দাবি জানান। বিকেল ৫টা পর্যন্তও সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন অবরুদ্ধ করে সেখানেই অবস্থান করছিলেন।
এছাড়া যে কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে ক্যাম্পাসের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এসএইচ/