ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

শিক্ষা ব্যবস্থায় কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার

প্রকাশিত : ০৭:২৪ পিএম, ৩১ মার্চ ২০১৮ শনিবার

গুণগত শিক্ষা ও দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে শিক্ষা ব্যবস্থায় কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার বলে মত দিয়েছেন শিক্ষাবিদরা। তারা বলছেন, প্রচলতি গধবাধা শিক্ষার কাঠামো থেকে বের হয়ে নতুন বাজারমুথী ও কর্মমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এর উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন: শিক্ষায় করণীয়, চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা” শীর্ষক জাতীয় পর্যায়ে দুই দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলনে ব্যক্তরা এসব কথা বলেন।

বর্তমান গ্লোবালাইজেশনের এই যুগে শিক্ষাকে যুগোপযোগী করে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে গবেষণা ভিত্তিক করে পুর্ণবিবেচনা করা দরকার বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা।

সম্মেলনে অংশ নিংয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল আহমেদ বলেন, বর্তমান শিক্ষা নিয়ে ব্যাপক ভাবে চিন্তাভাবনা করতে হবে। দেশের শিক্ষাবিদ দিয়ে চিন্তা গবেষণা করতে হবে। তাদের সিন্ধান্তের আলোকে শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করতে হবে। এবং শিক্ষাকে জীবনব্যাপী করতে হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষা আগে প্রাথমিক পর্যন্ত ব্যাধতামূলক ছিলো এখন মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। আগামী ১২ বছরের মধ্যে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাজারমুখী ও দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে সাহায্য করবে এমন শিক্ষা ব্যবস্থা সংযোজন করতে হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা মান বৃদ্ধিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এছাড়া প্রশ্নফাঁস রোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী এইচএস ও এসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস রোধে বিভিন্ন প্রকল্পে নিয়েছে। ইতোমধ্যে কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লা বলেন, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় বিজ্ঞান, কারিগরি ও প্রযুক্তি প্রসার বৃদ্ধি করতে হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসাবে তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে, দুইটা বিষয় গুরুত্ব দিতে হবে। একটি হলো আবকাঠামোর উন্নয়ন। আর অন্যটি হলো শিক্ষকদের পড়ানো দক্ষাতা বৃদ্ধি। বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক কলেজে আছে যেখানে কোনো প্রকার ক্লাস ছাড়া ব্যবাহারিক নম্বর দেওয়া হয়।

এছাড়া আমাদের দেশের শিক্ষক নিয়োগে অনেক অনিয়ম হয়-এটা বন্ধ করতে হবে। তাহলে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা যাবে।

সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয়ের মুখ্য সমন্বয় আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউ পরিচালক অধ্যাপক সায়েদা তাহমিনা আক্তার, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক কাজী এম আমিনুল ইসলাম, একুশে পদক জয়ী শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. শরিফা খাতুন প্রমুখ।

টিআর/টিকে