বিউটির ধর্ষক-খুনি বাবুল মিয়া গ্রেফতার
প্রকাশিত : ০৮:১৪ পিএম, ৩১ মার্চ ২০১৮ শনিবার
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে চাঞ্চল্যকর বিউটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে সিলেটের বিয়ানীবাজার এলাকা থেকে র্যাব-৯ এর সিলেটের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের পর শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানান, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে বিয়ানীবাজারের রামদা গ্রামে অভিযান চালাই। পরে ওই গ্রামে অবস্থিত তার ফুফুর বাড়িত আত্মগোপনে থাকা বাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করি।
এর আগে শায়েস্তাগঞ্জের ব্রাহ্মণডোরা গ্রামের দিনমজুর সায়েদ আলীর মেয়ে বিউটি আক্তারকে (১৫) গত ২১ জানুয়ারি তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যান বাবুল মিয়া ও তার সহযোগীরা। এরপর তার উপর চলে পাশবিক নির্যাতন। নির্যাতনের এক মাস পর তাকে কৌশলে বাড়িতে রেখে চলে যায় বাবুল মিয়া।
পরে এ ঘটনায় তার বাবা বাদি হয়ে গত ১ মার্চ বাবুল ও তার মা স্থানীয় ইউপি মেম্বার কলমচানের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
এরপর মেয়েকে বাবুল মিয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে বিউটির বাবা সায়েদ আলী বিউটিকে তার নানার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু তাতেও রক্ষা পায়নি বিউটি। পরে ১৬ মার্চ বাবুল মিয়া বিউটিকে তার নানার বাড়ি উপজেলার গুনিপুর গ্রাম থেকে তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। পরে বিউটিকে ধর্ষণের করে খুন করে বাবুল মিয়া।
এ ঘটনায় বিউটির বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল মিয়া (৩২) ও তার মা ইউপি সদস্য কলম চান বিবিকে (৪৫) আসামি করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ২১ মার্চ পুলিশ বাবুলের মা কলমচান ও সন্দেহভাজন হিসেবে একই গ্রামের ঈসমাইলকে আটক করে। পরে কিশোরী বিউটির মরদেহ পড়ে থাকার ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পরলে এ হত্যার বিরুদ্ধে নিন্দার জর উছে।
এমএইচ/ টিকে