চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে বাড়ছে রাজস্ব আদায়
প্রকাশিত : ০১:২৭ পিএম, ২৪ মে ২০১৬ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:২৭ পিএম, ২৪ মে ২০১৬ মঙ্গলবার
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে বাড়ছে রাজস্ব আদায়; ৫ বছরে গার্মেন্ট খাতে রফতানী আয় ৫০ বিলিয়ন ছাড়ানোর আশা
রাজস্ব আয় বাড়াতে আধুনিক পদ্ধতিতে শুল্কায়ন চলছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে। এই প্রক্রিয়ায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৬ হাজার কোটি টাকা। গত বছরের চেয়ে প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশ বেড়েছে বলে দাবি করেছেন কর্মকর্তারা। এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরকে আরো সম্প্রসারিত করা গেলে ২০২১ সালের মধ্যে তৈরী পোশাক খাতে রফতানী আয় ৫০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করেন বিজিএমইএ নেতারা।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে রফতানীর লক্ষ্যমাত্র নির্ধারন করা হয়েছিল ৩৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। অর্থবছরের ১০ মাসে রফতানী হয়েছে ২৭ দশমিক ৬৪০মিলিয়ন ডলার। দেশের আমদানী-রফতানীর সিংহভাগ পরিচালিত হয় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের মাধ্যমে। তাই ব্যবসায়ীদের বিড়ম্বনা কমাতে আমদানী-রফতানী প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং রাজস্ব আদায় বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন দাতা সংস্থার সহযোগিতায় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে শুরু হয়েছে ’ট্রাষ্টি ট্রেইনার প্রোগাম’র আওতায় পণ্যের শুল্কায়ন।
চলতি অর্থবছরের চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজকে রাজস্ব আদায়ের টার্গেট দেয়া হয়েছিল ৩৩ হাজার ১২১ কোটি টাকা। টার্গেটের চেয়ে ৬শতাংশ ঘাটতি থাকলেও গত বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বেড়েছে বলে জানান কাস্টমস কমিশনার।
এদিকে তৈরী পোষাক শিল্প মলিকদের সংগঠন বিজিএমইএ নেতারা মনে করেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সম্প্রসারণ এবং সরকারি সহায়তা অবাাহত থাকলে রফতানী আয় দ্রুত বাড়বে।
রফতানী আয় বাড়াতে তেরী পোশাক শিল্পসহ সব রফতানী খাততে কাস্টমস হাউসে বিড়ম্বনা মুক্ত রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন তারা।