ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ১৩ ১৪৩১

হাসিনা-মোদির বৈঠক হতে পারে চলতি মাসে

প্রকাশিত : ১১:৫২ এএম, ১ এপ্রিল ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ১২:০৩ পিএম, ২ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার

চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক হতে পারে ওই বৈঠকে আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবেন দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী। আনন্দবাজারের খবর।

এপ্রিলে চোগামে (কমনওয়েলথ হেড অব গভর্নমেন্ট মিটিং) যোগ দিতে ব্রিটেনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারত থেকে যাচ্ছেন মোদিও। ওই সম্মেলনের ফাঁকে তাদের মধ্যে একটি বৈঠকের জন্য তৎপরতা শুরু করেছে দু’দেশ।

এক বছর আগে হাসিনা-মোদীর মধ্যে শীর্ষ বৈঠক হয়েছে। এরমধ্যে আর তারা মুখোমুখি হননি। দু’টি দেশেই নির্বাচন কড়া নাড়ছে। দক্ষিণ এশিয়ার জন্যই যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে এই বৈঠকের। সম্প্রতি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল বিমস্টেক-এর নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকা এসেছিলেন। এর ঢাকা সফরে আসার কথা রয়েছে দেশটির বিদেশসচিব বিজয় গোখলে।

ভারতের বিদেশ মন্ত্রনালয়ের তথ্য মতে, বাংলাদেশ সরকারের আরো বেশি আস্থা অর্জন করাটাকে এখন অগ্রাধিকার দিচ্ছে ভারত। সাংস্কৃতিক দৌত্যের মাধ্যমে ‘ট্র্যাক টু’ কূটনীতির দিকেও জোর দেওয়া হচ্ছে। ১০ এপ্রিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে একটি আলোচনাসভায় যোগ দিতে ঢাকা আসছেন রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরি এবং বিশ্বভারতীর উপাচার্য সবুজকলি সেন।

তবে ওই বৈঠকে তিস্তা নিয়ে কোনো কথা দেওয়া সম্ভব হবে না মোদীর পক্ষে। সম্প্রতি ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিস্তা ছাড়া আরো অনেকগুলো বিষয় রয়েছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ভারত পাশে রয়েছে। যে কাজগুলো ইতিমধ্যেই চলছে তার পাশাপাশি, নতুন কোন ক্ষেত্রে সমন্বয় বাড়ানো যায়, তা নিয়ে কথা বলবেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

কথা হবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়েও। কট্টর মৌলবাদ এবং সন্ত্রাসের মোকাবিলা করতে পারস্পরিক সহযোগিতা আগামী দিনে আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে বলে মনে করে ভারত। প্রতিবেশী রাষ্ট্রে নির্বাচনের মুখে হিংসার ঘটনা বাড়লে তার প্রভাব সীমান্তে পড়তে পারে— এই উদ্বেগ রয়েছে নয়াদিল্লির।

নিরাপত্তা সহযোগিতা আরো বাড়ানো নিয়ে কথা চলছে দু’দেশের। তবে তিস্তা নিয়ে আশু নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা না থাকলেও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য ভারত যে ঐকান্তিক, এবার সে কথা স্পষ্ট ভাবেই জানানো হবে ঢাকাকে। রাখাইন প্রদেশকে আর্থ-সামাজিক ভাবে ঢেলে সাজানোর জন্য কী পদক্ষেপ করলে সুবিধা হয়, সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে ভারত।

গত বছরের শেষে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জেলা রাখাইনের উন্নয়নের জন্য একটি চুক্তিপত্রে সই করেছে ভারত। সেখানে প্রস্তাবিত আবাসন তৈরির প্রকল্পগুলি শুরু করে দিতে সক্রিয় হচ্ছে মোদী সরকার। প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করার মতো যথেষ্ট রসদ রাখাইন প্রদেশে রয়েছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আর / এআর