ঢাকা, শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৭ ১৪৩১

নগরীর আবাসিক এলাকাগুলোয় চলছে বাণিজ্যিক কার্যক্রম (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১১:০১ এএম, ২ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০২:০৪ পিএম, ২ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার

বিচার বিশ্লেষণ ছাড়া শুধু মাত্র বাড়তি ফি দিয়েই আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম বৈধতা দিচ্ছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউক। কিন্তু পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস কিংবা সড়ক ব্যবহারের সামঞ্জস্য না থাকায়, এতে উল্টো বাড়ছে নগরের সমস্যা। এমনটাই মনে করেন, নগর পরিকল্পনাবিদরা। ভবিষ্যতে ঢাকাকে বসবাসযোগ্য রাখতে, শুধু আবাসনের ব্যবস্থায় সীমাবদ্ধ না রেখে বরং পরিকল্পিত-টেকসই সামাজিক পরিবেশ তৈরির পরামর্শ তাদের।

শুধু রাস্তা আর প্লট। খেলার মাঠ, স্কুল, চিকিৎসাকেন্দ্র কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক প্লট রাখা হয়নি, এরইমধ্যে গড়ে উঠা আবাসিক এলাকাগুলোয়।

কিন্তু আর্ত-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনে, এসব বিশুদ্ধ আবাসিক এলাকার ধারণা এখন সেকেলে। বরং একে নিরুৎসাহিত করে অন্তত ৩০ভাগ প্লটে বাণিজ্য অথ্যাৎ অনাবাসিক-মিশ্র ব্যবহার উৎসাহিত করা হচ্ছে।

আবার, প্রয়োজনের তাগিদে তৈরি ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব থাকা এসব স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলাও যাচ্ছে না। সঙ্গত কারণে, বাড়তি ফি দিয়েই, বৈধতাও দেওয়া হচ্ছে।

সরকারের এই দৃষ্টিভঙ্গি আপাত সমস্যার উপশম হলেও, দীর্ঘ মেয়াদে জঞ্জালই বাড়াচ্ছে বলেই মনে করছেন, নগর গবেষকরা। কারণ, আবাসিকের আয়োজন দিয়ে, বাণিজ্যিক ব্যবহার চলতে পারে না।

জনগনের নিত্যদিনের প্রয়োজন স্থানীয় ভাবে পূরণের ব্যবস্থা করতে পারলে মিলতে পারে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ।

এ বিষয়ে গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, এগুলো ভেঙে ফেললে আর্থিক ক্ষতি হবে। তাই আবাসিক এলাকায় যেসব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলো থাকবে। ভবিষ্যতে যেন এমনটি না হয় সেটি নিশ্চিত করা হবে।

তবে নগর পরিকল্পনাবিদেরা বলছেন, আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে নগর হুমকির মুখে পড়বে। এ বিষয়ে নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, সরকার যদি শুধু ছাড় দিয়েই চলে তবে দীর্ঘমেয়াদে হুমকির মুখে পড়বে নগর।