ঢাকা, রবিবার   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ১৪ ১৪৩১

ভ্যাট থেকে দ্বিগুনের বেশী আয় করেও পন্যের দাম কমিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত : ১১:৩৪ এএম, ২৫ মে ২০১৬ বুধবার | আপডেট: ১১:৩৪ এএম, ২৫ মে ২০১৬ বুধবার

ভ্যাট থেকে দ্বিগুনের বেশী আয় করেও পন্যের দাম অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে কমিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা কোটি টাকার নতুন বাজেট দিতে যাচ্ছে সরকার। অর্থবছরের মূল বাজেট থেকে প্রায় অর্ধলক্ষ কোটি টাকা এবং সংশোধিত বাজেট থেকে পৌনে এক লাখ কোটি টাকা আকারে বড় হবে নতুন অর্থবছরের বাজেট। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার দ্বিতীয় বছরে সরকার প্রবৃদ্ধির আশাও করছে সাতের অনেকটাই ওপরে। গেল বছর অর্থমন্ত্রী সপ্তম পঞ্চবার্ষিকীর পরিকল্পনা অনুযায়ী বছরে বছরে প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে ক্রমান্বয়ে ৮ শতাংশে নেয়ার লক্ষ্য জানিয়ে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রায় তিন লাখ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন। প্রতিবারের মতই কাটছাঁট করে সংশোধিত বাজেট করা হয় ২ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। দুই লাখ কোটি টাকার ওপরে আয়ের আশা বাদ দিয়ে পৌনে দুইলাখ কোটি এবং এডিপি ৬ হাজার কোটি কমিয়ে ৯১ হাজার কোটি টাকা ঠিক করা হয়। অর্থমন্ত্রী আগামী মাসের শুরুতে সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকার বাজেট দিতে যাচ্ছেন যেটি চলতি অর্থবছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ এবং সংশোধিত বাজেট থেকে ২৮ শতাংশ বেশী। এ বাজেটকে বড় বলতে নারাজ উন্নয়ন বিশ্লেষণ প্রতিষ্ঠান সিপিডি। তাদের মতে, মানসম্মত বিনিয়োগ বাড়াতে পারলে প্রবৃদ্ধিও নেয়া যাবে সাতের ওপরে। সংশোধিত বাজেটে এনবিআরের আয় পৌনে দুইলাখ কোটি থেকে দেড় লাখ কোটি টাকায় কমিয়ে আনা হয়েছে। তবে আগামী বাজেটে অর্থমন্ত্রী এখাতে দুইলাখ কোটি টাকার লক্ষ্য নিয়ে মোট আয় ধরছেন প্রায় আড়াইলাখ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী ভ্যাট থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা আয় ও মূল্যস্ফীতি ৬ এর নীচে রাখার কৌশলপ্রত্র দিতে পারেন ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায়। সিপিডি মনে করে, ভ্যাট প্রয্যেজ্য ১৯শ পন্যের দাম বাড়লে বাজারের চাপ সামাল দিতে  উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে, কমাতে হবে ব্যবসার খরচ। আগামী বাজেটে ভর্তুকি কমানো হবে। টাঙ্গাইলে পরীক্ষামূলক ফল ভাল না আসায় জেলা বাজেট অনিশ্চিত। সরকারী-বেসরকারী খাত মিলেমিশে প্রকল্প করার পিপিপিকে আকর্ষণ বাড়াতে লোভনীয় কিছু দিতে পারেন অর্থমন্ত্রী। খেলাপী ঋণে রুগ্ন ব্যাংকগুলোর পুনর্মুলধনীকরণে বড় অঙ্কের টাকা বরাদ্দ হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা ও সুশাসন নিশ্চিতের পরামর্শ দিয়ে আসছেন অর্থনীতিবিদরা।