পাকিস্তানের কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লজ্জার হার
প্রকাশিত : ১১:০২ এএম, ৩ এপ্রিল ২০১৮ মঙ্গলবার
গেইল-হোল্ডারদের ছাড়া পাকিস্তান সফরে এসে জয়ের সামান্যতম সম্ভাবনাও জাগাতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্বাগতিকদের সামনে একেবারে দাঁড়াতেই পারেনি তারা। ব্যাটিং-বোলিংয়ে দাপট দেখিয়ে ক্যারিবিয়ানদের আক্ষরিক অর্থেই উড়িয়ে দিয়েছে সফররাজের দল।
ঘরের মাঠ পেয়ে টি২০ রাজাদের একেবারে মাটিতে নামিয়েছে পাকিস্তান। ব্যাটিং-বোলিংয়ে দাপট দেখিয়ে ক্যারিবিয়ানদের আক্ষরিক অর্থেই উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। করাচির দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮২ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে ২-০তে সিরিজ নিশ্চিত করেছে স্বাগতিকরা। এছাড়া বড় রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের সর্বনিন্ম রানে গুটিয়ে যায়।
করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ব্যক্তিগত ৬ রানে সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার ফখর জামান। তবে দ্বিতীয় উইকেটে হুসাইন তালাতকে সঙ্গে নিয়ে ১১৯ রানের জুটি গড়েন বাবর আজম। সাজঘরে ফেরার আগে হুসাইন তালাতের ব্যাট থেকে আসে ৬৩ রান।
বাবর আজম ও হুসাইন তালাতের দারুণ ব্যাটিংয়ে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের পর বল হাতে জ্বলে উঠলেন পাকিস্তানের বোলাররাও।
পাকিস্তানের হয়ে কোন ব্যাটসম্যান অর্ধশতক করতে পারেনি। কিন্তু প্রথম সারির কয়েকজন ব্যাটসম্যান ঝড়ো ইনিংস খেলায় এই রান করে সফররাজের দল।
পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরে জমা করে ৩ উইকেট ২০৫ রান। কঠিন এই লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে সফরকারীরা ৪ বল আগেই অলআউট হয়ে যায় ১২৩ রানে।
পাকিস্তানের পক্ষে আমির নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন শাদাব খান ও হুসাইন তালাত।
এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে করাচি স্টেডিয়ামে একবার ২০৩ রান তুলেছিল দলটি। যা যৌথভাবে তাদের সর্বোচ্চ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান
২০ ওভারে ২০৩/৫ (ফখর ৩৯, বাবর ১৭, তালাত ৪১, সরফরাজ ৩৮, মালিক ৩৭*, আসিল ১, আশরাফ ১৬*; বদ্রি ০/৩৭, পল ১/২৬, এমরিট ১/৪৩, উইলিয়ামস ০/৪২, পেরমল ০/৮, স্যামুয়েলস ০/৭, পাওয়েল ১/৩৪)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ
১৩.৪ ওভারে ১২৩ (ওয়ালটন ৬, ফ্লেচার ০, স্যামুয়েলস ১৮, জেসন ০, রামদিন ০, পাওয়েল ৫, পল ১০*, এমরিট ১১, উইলিয়ামস ০, বদ্রি ৭, পেরমল ০* আহত অনুপস্থিত; নওয়াজ ২/১৯, আমির ২/৩, হাসান ১/০, আশরাফ ০/৯, শাদাব ১/১৩, মালিক ২/১৩, তালাত ১/৩)
ফল
পাকিস্তান ৮২রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ
হুসাইন তালাত
একে// এআর