৫ মণ বেগুন বিক্রি করে এক কেজি গরুর মাংস!
প্রকাশিত : ১১:২৫ এএম, ৩ এপ্রিল ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৩:৪৮ পিএম, ১৯ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার
কৃষি পণ্যের দাম কমলে সাধারণত কৃষকরাই ক্ষতিগ্রস্ত হন বেশি। তবে অনেক সময় এতোটাই ক্ষতিগ্রস্ত হন যে, তাদের মাথায় পড়ে যায়। বিশেষ করে সবজির দাম মাঝে মাঝে এতোটায় কমে যায় যে, তখন কৃষক অসহায় হয়ে পরে। যেমন সব ধরনের গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম কমে গেছে। গত এক মাস ধরে কৃষক তার উৎপাদিত বেগুন বিক্রি করে পরিবহন খরচও উঠাতে পারছেন না। এতে সার, কীটনাশকসহ খরচ মেটাতে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন চাষিরা। কৃষি বিভাগ বলছে, এ বছর আবাদি জমির পরিমাণ বৃদ্ধি এবং বাম্পার ফলনের কারণে সবজির উৎপাদন বেড়েছে। ফলে বেগুনের দাম কমে গেছে।
এই জেলার কৃষকরা জানান, গত এক মাস ধরে বেগুনের দরপতন ঘটেছে। প্রতি কেজি বেগুন দুই থেকে তিন টাকায় অর্থাৎ মণপ্রতি ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। সার, কীটনাশক ও শ্রমিক খরচসহ প্রতি কেজি বেগুনের উৎপাদন মূল্য দাঁড়ায় ১০ থেকে ১৫ টাকা। এছাড়া এসব বেগুন বাজারে আনতে পরিবহন খরচও যুক্ত হয়। এক মাস ধরে বেগুনের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় উৎপাদন খরচ দূরে থাক, পরিবহন খরচও উঠাতে পারছেন না কৃষকরা।
অনেক কৃষক বলছেন, এক কেজি গরুর মাংস কিনার জন্য কমপক্ষে পাঁচ মণ বেগুন বিক্রি করতে হচ্ছে। অর্থাৎ এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় আর পাঁচ মণ বেগুন বিক্রি করতে হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়।
অনেক কৃষক জানান, এভাবে সেবজির দাম কমলে কৃষকরা সবজি চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
এসএইচ/