ঢাকা, বুধবার   ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ১১ ১৪৩১

মুম্বাই হাইকোর্ট

গভীর প্রেমে যৌন মিলন ধর্ষণ নয়

প্রকাশিত : ১২:৪৪ পিএম, ৩ এপ্রিল ২০১৮ মঙ্গলবার

গভীর প্রেমের সম্পর্ক যৌন মিলনে গড়ালে, `ঘটনাক্রম ভূলভাবে সাজিয়ে` প্রেমিককে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। সোমবার এ কথা জানিয়েছেন মুম্বাই হাইকোর্টের গোয়া বেঞ্চ।

জানা গেছে, প্রেমিক বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করায় ধর্ষণের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক মহিলা। নিম্ন আদালত সেই মামলায় অভিযুক্ত প্রেমিককে ৭ বছরের জেল এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে। এরপরই বিচার চেয়ে হাইকোর্টে আসে ওই প্রেমিক। সেই মামলাই সোমবার মুম্বাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে দেন।

যা ঘটেছিল সেদিন: গোয়ার এক ক্যাসিনোর রাঁধুনি যোগেশ পালেকরের সঙ্গে প্রেম হয় তার এক সহকর্মীর। একদিন তারা যোগেশের বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করবেন বলে ঠিক করেন। কিন্তু, যোগেশের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, তার বাবা-মা সেদিন নিজেদের বাড়িতে উপস্থিত নেই।

এরপর সেই রাতটা যোগেশের সঙ্গে তার বাড়িতেই কাটান অভিযোগকারিণী। সেই রাতে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। পরদিন, যোগেশ অভিযোগকারিণীকে বাড়িও পৌঁছে দেন। এরপরও যোগেশের বাড়িতেই বিভিন্ন সময়ে তারা চার বার শারীরিকভাবে মিলিত হয়েছেন। এই সময় যোগেশকে বেশ কয়েকবার অর্থনৈতিকভাবে সাহায্যও করেন ওই যুবতী। এর কিছুদিন পর অভিযোগকারিণী নিম্ন বর্ণের পরিবার থেকে উঠে এসেছে বলে, তাকে বিয়ে করতে অসম্মত হন যোগেশ পালেকর। এই পরিস্থিতিতে যোগেশের প্রেমিকা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেন।

পরে অবশ্য যোগেশ মানসিক সমস্যায় ভোগেন এবং তাকে চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। সেই সময় আবার অভিযোগকারিণী `ব্যক্তিগত আবেগের কারণে` হলফনামা জারি করে তার সব অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। এরপর আবার তিনি অভিযোগ দায়ের করেন এবং তার ভিত্তিতেই নিম্ন আদালত যোগেশকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দেয়। কিন্তু মুম্বাই হাইকোর্ট মহিলার এ দাবি মানতে নারাজ।

আদালতের যে বক্তব্য: আদালতের বক্তব্য, অভিযোগকারিণী নিজের সম্মতিতেই একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তাছাড়া, যোগেশের আর্থিক অসঙ্গতির কথা জেনে তিনি বেশ কয়েকবার তাকে অর্থ সাহায্যও করেছিলেন। এমনকী, যোগেশ মানসিক সমস্যায় ভোগাকালীন সব অভিযোগও প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন তিনি।

এর ফলে স্পষ্ট যে, তাদের মধ্য `গভীর প্রেমের সম্পর্ক` ছিল। তাছাড়া, যোগেশ যে কোনওভাবেই যুবতীকে মানসিক বা শারীরিকভাবে শোষণ করেননি, তা তাদের পরস্পরের প্রতি কোমল ব্যবহার এবং বারবার যৌন মিলন থেকেই স্পষ্ট। তাই বিয়ে করবে না বলার পরই যোগেশ ধর্ষণ করেছে এমন অভিযোগ অন্যায্য। সূত্র: জিনিউজ

 

আর