ঢাকা, বুধবার   ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ১১ ১৪৩১

মাশরাফির অবসর ভাবনা

প্রকাশিত : ০১:৪৩ পিএম, ৩ এপ্রিল ২০১৮ মঙ্গলবার

‘ক্রিকেট যেহেতু খেলেছি ক্রিকেটকে দেওয়ার অনেক কিছু আছে। প্রায় ১৭-১৮ বছর ক্রিকেট খেলে অনেক কিছু পেয়েছি। ক্রিকেটের সঙ্গে থাকতে পারা আনন্দের ব্যাপার। ভবিষ্যতে কী হবে, তা কথা বলা কঠিন। তবে অবশ্যই আমি চাই মানুষকে সহযোগিতা করতে।’

বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

তবে এখনই অবশ্য অবসর নিয়ে ভাবছেন না মাশরাফি। জাতীয় দলের হয়ে এখন টেস্ট বা টি-টোয়েন্টি না খেললেও ওয়ানডেতে তিনি বেশ ভালোই ফর্মে আছেন। চলতি মৌসুমে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগেও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি মাশরাফি বিন মর্তুজা। এবারে আবাহনী দলের হয়ে খেলছেন তিনি।

তাঁর ভাষ্যে, ‘আমি ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবি না। বর্তমানে বিশ্বাস করি। হ্যাঁ, একটা সময় তো আসবেই যখন মনে হবে, তখনকারটা তখন ভাববো।’

২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশের জাতীয় দলে খেলছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এই পেস বোলারের ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ইনজুরি বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। শুধু হাঁটুতেই সাতবার অস্ত্রোপচার করিয়েছেন মাশরাফি।

ক্রিকেটারের জীবনটা কেমন উপভোগ করেছেন মাশরাফি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্রিকেটটা আমার সঙ্গে মানিয়ে গেছে। দশটা কাজ করা যায় না, মনের মতো কাজ একটাই থাকে। ক্রিকেটটাই আমার জন্য, এজন্যেই পেরেছি। এজন্যেই অপারেশন-ইনজুরি এসব কষ্ট কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।

নড়াইলের সন্তান মাশরাফির সঙ্গে দেখা করতে প্রতিবারই তাঁর বাড়ির আঙ্গিনায় ভিড় জমান অনেক চেনা-অচেনা মানুষ।

মাশরাফির কাছে বিবিসি বাংলা প্রশ্ন রাখে কীভাবে তিনি সামাল দেন এই চাপ?

মাশরাফি বলেন, কখনও কখনও একের পর এক মানুষ আসতেই থাকে। কখনও কখনও আমি দুই বা তিনদিনের বেশি ছুটি পাই না। আমি ছোটবেলা থেকে নানা-নানীর কাছে বড় হয়েছি। যখন বাবা-মার সঙ্গে যাই, পারিবারিক একটা সময় কাটাতে চাই। তাই কখনও কখনও একটু সমস্যা হয়ই। তাই সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যায়। তাই গত বছর থেকে বিকালে বা সকালে এক ঘণ্টা করে সময় ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। অনেক দূর থেকে অনেকে কষ্ট করে আসে। একটা সময় দিতেই হয় তাই।

ক্রিকেট ক্যারিয়ারের বাইরেও মাশরাফির ডানপিটে স্বভাব এবং তার নেতৃত্ব মিলিয়ে ভক্তদের অনেকের কাছে ক্রিকেটের বাইরেও একটা ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন। বিবিসি বাংলাকে অবশ্য তিনি বলছেন, জনপ্রিয় হবার আগের জীবনটাই তিনি বেশি উপভোগ করতেন। এই জীবনে অনেক দায়বদ্ধতা রয়েছে।

মাশরাফি বলেন, এটার ভেতরে একটা আনন্দ আছে। ভাল দিক হচ্ছে চাইলেও অনুচিত কিছু করা হয় না। একটা নিয়ন্ত্রণ আসে নিজের মাঝে। মানুষ যখন আমাকে অনুসরণ বা অনুকরণ করে তখন আসলেই ভাল লাগে। তবে আমার দ্বারা আগে, এখন বা ভবিষ্যতে অনেক ভুলই হতে পারে, সেই ভুলগুলো যাতে কেউ অনুসরণ না করে এটা চাইবো।

সূত্র: বিবিসি

একে// এআর