যেভাবে কমাতে পারেন শিশুর স্থুলতা
প্রকাশিত : ০২:১২ পিএম, ৩ এপ্রিল ২০১৮ মঙ্গলবার
স্থুলতা হচ্ছে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় পদার্থ জমা হওয়া এবং স্বাস্থ্যের উপর এর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে। যেটা বিশ্বে এখন শিশুদের মধ্যেই বেশি দেখা যাচ্ছে। শিশুরা দিন দিন মাত্রাধিক ওজনে মুটিয়ে যাচ্ছে। যা পরবর্তীতে মারাত্মক আকারে ধারণ করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। কেননা স্থুলতা বৃদ্ধির ফলে শিশুরা ডায়াবেটিস, শুয়ে থাকার সময় শ্বাসকষ্ট, বিভিন্ন রকমের ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে।
স্থুলতা বেড়ে যাওয়ার অবশ্য বিশেষ কারণ রয়েছে। অতিরিক্ত ক্যালোরিযুক্ত খাদ্যগ্রহণ, কায়িক শ্রমের অভাব কিংবা বংশ পরম্পরার কারণে শিশুদের স্থুলতা বাড়ছে। এছাড়া শিশুদের অধিকাংশ মৃত্যুর অন্যতম কারণ হচ্ছে স্থুলতা। তবে আমেরিকা ও ইউরোপের অনেকেই গবেষণা করে দেখেছেন যে, কিছু প্রচেষ্টায় শিশুদের স্থুলতা কমানো সম্ভব।
দেখা যায়, ইউরোপের নেদারল্যান্ডসের আমস্টার্ডামের এই প্রবণতা কমছে। শহরের একটি শরীর চর্চা কেন্দ্রে টেরেল ভ্যান ডে নামের নয় বছরের এক শিশুকে ওঠা-বসার ব্যায়াম করছে। এরপর সে খানিকক্ষণ লাফালো আর দৌড়ালো। এতে তার শ্বাস ঘন হয় এসেছে আর হৃৎপিণ্ড জোরে জোরে চলছে। কিন্তু এতে শিশুটি হাসছে, কারণ কষ্ট হলেও সে আনন্দ পাচ্ছে।
এক বছর আগে ওই শিশুর বাবা-মাকে সেখানকার এক কর্তৃপক্ষ জানায় যে, তার ওজন অতিরিক্ত বেশি ছিল। এরপরই তাকে এই কর্মসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এতে তার শরীরের ওজন অনেকটা কমেছে। শহরের স্বাস্থ্য-ওজন কর্মসূচী অনুযায়ী এখন স্থূল শিশুদের অতিরিক্ত ওজন কমেছে।
টেরেল নামে ঐ শিশুকে সেখানে নিয়মিত খাদ্য তালিকাসহ কিছু ব্যায়ামের সময়সূচী করে দেওয়া হয়েছিল। তবে শারীরিক চর্চার প্রতি নজর রাখতে বলেছিল কর্তৃপক্ষ।
টেরিলের বাবা-মায়ের মতে, যখন কোন শিশুর অতিরিক্ত ওজন হয় তখন খাবারের মধ্যে চিনি বা ফাস্টফুড খাওয়া ক্ষতিকর। এ সময় অভিভাবকদের উচিত এসব খাবার থেকে শিশুদের বিরত রাখা। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর খাবার ছাড়াও স্কুল থেকে ফিরে অতিরিক্ত সময় ধরে কম্পিউটারে গেম খেলা তার মুটিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন তারা।
স্থুল শিশুদের উপর পরামর্শ করে পুষ্টিবিদরা বলেছেন, স্থুল শিশুদের খাবারের তালিকায় সবজি আর মুরগি দিয়ে তৈরি স্যুপ রাখাই শ্রেয়। খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়ম করলেই স্থুলতার হার কমে আসবে।
তথ্যসূত্র : বিবিসি।
কেএনইউ/ এআর