‘বিএনপিকে কলঙ্কিত করতেই দুদকের অভিযোগ’
প্রকাশিত : ০৬:১১ পিএম, ৩ এপ্রিল ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৬:১২ পিএম, ৩ এপ্রিল ২০১৮ মঙ্গলবার
প্রথম সারির আট নেতার বিরুদ্ধে ১২৫ কোটি টাকার ‘সন্দেহজনক লেনদেনে’র অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেছে বিএনপি। সংশ্লিষ্ট সিনিয়র আট নেতা জানিয়েছেন, বিএনপিকে কলঙ্কিত করতেই এ ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপি নেতারা। এ সময় নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন দলের এই আট নেতা।
অভিযুক্ত আট নেতা হলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, এম মোর্শেদ খান, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও নির্বাহী সদস্য তাবিথ আউয়াল।
সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে বাধা দিতে ও বিএনপিকে কলঙ্কিত করতেই অভিযোগ এনেছে। এসময় তিনি দুদকের আনা অভিযোগকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, সারা জীবনেই সাত কোটি টাকা লেনদেন করেছি বলে মনে হয় না। দুদকের এটা নোংরা রসিকতা। তারা মিথ্যা অভিযোগ করেছে। দুদক নিজেদের স্বাধীন বলে দাবি করলেও তারা আসলে স্বাধীন না।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এসব অভিযোগ আনা একদলীয় শাসন কায়েমের একটা অংশ। সরকার আর্থিক খাত ধ্বংস করে টাকা লুট করেছে। তিনি বলেন, একদলীয় প্রচারণার জন্য আওয়ামী লীগ ২৫টি পোর্টাল খুলেছে। তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করছে ক্ষমতা দখলের জন্য।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, আমরা ব্যবসা করি, লেনদেন হতেই পারে। কিন্তু দুদক যে অভিযোগ এনেছে সেটি বানোয়াট। গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে আনা অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। গোয়েন্দা সংস্থার উচিত মানুষকে সত্যটা জানানো।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে সরকার দুদককে কাজে লাগাচ্ছে। হঠাৎ করে বিএনপির সিনিয়র নেতা ও তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধ টাকা লেনদেনের অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা বরকতউল্লাহ বুলু, আবদুস সালাম, আবদুস সালাম আজাদ, আব্দুল আউয়াল খান প্রমুখ।
আর / এআর