খুলনা সিটি নির্বাচনে দলীয় টিকেট পেতে মরিয়া প্রার্থীরা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১০:৫৪ এএম, ৪ এপ্রিল ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৫:৩২ পিএম, ৪ এপ্রিল ২০১৮ বুধবার
আসন্ন খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নিজ নিজ দলের টিকেট পেতে কেন্দ্রে জোর লবিং চালাচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। বড় দুটি রাজনৈতিক দল থেকে এখনও মেয়র প্রার্থী ঘোষণা না হলেও জাতায় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন এরিমধ্যে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। তবে দলের টিকেট পাবার আগেই সমস্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে নগরী। চলছে গণসংযোগও। খুলনা
২০১৩ সালের জুনে অনুষ্ঠিত হয় খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। গেল ৩১ মার্চ তফসিল ঘোষণার পর নগরীতে বইছে নির্বাচনী হওয়া। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে, কেন্দ্রে জোর লবিং শুরু করেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।
সম্ভব্য মেয়র প্রার্থীরা এরই মধ্যে নেমে পড়েছেন মাঠে। বাহারী পোস্টার আর ব্যানারে ছেয়ে গেছে গোটা নগরী। বিএনপিতে বর্তমান মেয়র ছাড়াও রয়েছেন একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী।
খুলনা সিটি মেয়র মনিরুজ্জামান মনি বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি, আশা করছি দলীয় মনোনয়ন আমাকে দেয়া হবে।
খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম মনা বলেন, দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে আমি নির্বাচন করবো। ইতিমধ্যেই তৃণমূল থেকে দাবি উঠেছে আমাকে মনোনয়ন দেয়ার।
খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, আমাদের মধ্যে অনেক প্রার্থী আছেন, আমরা তৈরি হয়ে আছি।
খুলনায় ৩ বার বিএনপি প্রার্থী নগরপিতা নির্বাচিত হলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয় পেয়েছে একবার। তবে আওয়ামী লীগের তৃনমূলের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা এবার যোগ্য প্রার্থী নির্ধারণের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার হবে নগরপিতার আসনটি।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, আমরা এই আসনটা পুনরুদ্ধার করতে চাই।
সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে ইনশাআল্লাহ আমরা বিজয় অর্জন করতে পারবো।
প্রধান দুই দলের প্রার্থী চূড়ান্ত না হলেও এস এম মুশফিকুর রহমানকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন এরশাদ।
তবে নিজে চূড়ান্ত মনোনয়ন না পেলে দলীয় প্রার্থীর জন্য কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন সম্ভব্য প্রার্থীরা।