১৫০তম মঞ্চায়নে ‘লালজমিন’
প্রকাশিত : ০১:৪৮ পিএম, ৪ এপ্রিল ২০১৮ বুধবার
শূন্যন রেপার্টরি থিয়েটারের প্রথম প্রযোজিত ‘লালজমিন’ নাটকের এর ১৫০তম মঞ্চায়ন হবে ৬ এপ্রিল। নাটকটি রচনা করেছেন মান্নান হীরা, নির্দেশনা দিয়েছেন সুদীপ চক্রবর্তী, এতে একক অভিনয় করেছেন মোমেনা চৌধুরী।
২০১১ সালের ১৯ মে নাটমন্ডলে ‘লালজমিন’ নাটকটি প্রথম মঞ্চায়ন হয়। সেই থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ও বিদেশের মাটিতে একর পর এক নাটকটির মঞ্চায়ন হয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিতায় ৫ এপ্রিল মৌলভীবাজার ১৪৯তম ও ৬ এপ্রিল শ্রীমঙ্গল বিজয়ী থিয়েটারের আয়োজনে স্থানীয় মহসিন অডিটরিয়ামে হতে যাচ্ছে ‘লালজমিন’ নাটকটির ১৫০ তম মঞ্চায়ন।
এ বিষয়ে মোমেনা চৌধুরী বলেন, ‘শুরু থেকে নাটকটির প্রতি দর্শকদের আগ্রহ আমাদের পথচলাকে করেছে গতিময়। ১৫০তম প্রদর্শনীর আগে তিন জন মুক্তি যোদ্ধা নারী প্রদ্বীপ প্রজ্জলন করবেন। উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তি যোদ্ধারা।’
মোমেনা চৌধুরী আরও বলেন, ‘সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে যারা আমাদের ‘লালজমিন’ নাটকটি প্রদর্শন করার সুযোগ করে দিয়েছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি আরণ্যক নাট্যদলের কাছে। আর আমাদের সবটুকু ভালোবাসা দর্শকদের জন্য। তাদের অনুপ্রেরণায় আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি।’
উল্লেখ্য, তের ডিঙিয়ে চৌদ্দ বছর ছুঁই ছুঁই এক কিশোরী কন্যার গল্প ‘লালজমিন’। চৌদ্দ বছর ছুঁই ছুঁই কিশোরীর দুচোখ জুড়ে মানিক বিলের আটক লাল পদ্মের জন্য প্রেম। সে কৈশোরেই শোনে বাবা মায়ের মধ্যরাতের গুঞ্জন। শুধু দুটি শব্দ কিশোরীর মস্তকে আর মনে জেগে রয়, মুক্তি-স্বাধীনতা। ওই বয়সে কিশোরী এক ছায়ার কাছ থেকে প্রেম পায়। বাবা যুদ্ধে চলে যায় অগোচরে- কিশোরী নানা কৌশলে যুদ্ধে যাওয়ার আয়োজন করে, সশস্ত্র যুদ্ধ। বয়স তাকে অনুমোদন দেয় না। এবার কিশোরীর সেই ছায়া-প্রেম সম্মুখে দাঁড়ায়, কিশোরী তার সেনাপতিকে চিনতে পারে। তারপর যুদ্ধযাত্রা।
লক্ষ্যে পৌঁছাবার আগেই পুরুষ যোদ্ধারা কেউ শহীদ হন, কেউ নদীর জলে হারিয়ে যান। পাঁচ যুবতীসহ যুদ্ধযাত্রী এই কিশোরীর জীবনে ঘটে নানা অভিজ্ঞতা। চৌদ্দ বছরের কিশোরীর ধবধবে সাদা জমিন যুদ্ধকালীন ৯ মাসে রক্তরাঙা লাল হয়ে উঠে। লালজমিন কিশোরীর রক্তরাঙা অভিজ্ঞতার মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর এক নারীর সংগ্রামী জীবনের নাট্যপ্রকাশ লালজমিন।
এসএ/