‘চেহারা সুন্দর হলেই খোলামেলা পোশাক পরা যায়’
প্রকাশিত : ০৩:২৫ পিএম, ৪ এপ্রিল ২০১৮ বুধবার
‘বীর জারা’-র সাব্বু বা ‘দিল্লি সিক্স’-এর জালেবিকে মনে আছে নিশ্চয়ই। হ্যাঁ পাঞ্জাবি কন্যা বলিউড অভিনেত্রী দিব্যা দত্তর কথাই বলছি। খুব শীঘ্রই মুক্তি পাচ্ছে তাঁর ‘ব্ল্যাকমেল’ সিনেমা। সম্প্রতি কলকাতার একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে তিনি এক বিষ্ফরক মন্তব্য করেছেন। যা নিয়ে চলছে চরম উত্তেজনা। অভিনেত্রী বলেছেন- ‘যার চেহারা সুন্দর সে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে খোলামেলা পোশাক পরতেই পারেন’।
তাকে প্রশ্ন করা হয়- একজন পঞ্জাবি মেয়ের বলিউডে অভিনেত্রী হয়ে ওঠার লড়াইটা কেমন ছিল?
উত্তরে দিব্যা বলেন, ‘লড়াই কিন্তু সকলকেই করতে হয়। আমাদের প্রত্যেককেই একটু ফোকাস হতে হবে। আমার জীবনের প্রায়োরিটি কী? আমি ঠিক কী চাই। তার জন্য যা করার করতে হবে। আমি শব্দগুলোকে ‘স্ট্রাগল’ বা ‘লড়াই’ এ ভাবে একেবারেই দেখতে চাই না।
দিব্যাকে প্রশ্ন করা হয়- কখনও অনিল কাপূরের স্ত্রী, কখনও বা ইরফান খানের। কখনও বা ‘ইরাদা’র ক্ষতিকারক মুখ্যমন্ত্রী। কেমন লাগে?
জবাবে তিনি বলেন, ‘নেগেটিভ চরিত্র করার মধ্যে একটা চ্যালেঞ্জ আছে। খুব পছন্দ হয়েছিল কাজটা।’
বড় বড় পরিচালকের সঙ্গে কাজ করা প্রসঙ্গে দিব্যা বলেন, ‘আরে! আমি অভিনয়ের ব্যাপারে ভীষণ লোভী। আমি চাই গুলজার সাব, বিশাল ভরদ্বাজ, অনুরাগ বসু, অনুরাগ কাশ্যপের মতো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে। আমি অপেক্ষা করে আছি। আসলে আমাদের চারপাশে এতো ট্যালেন্ট ছড়িয়ে আছে!
তাকে প্রশ্ন করা হয়- বোল্ড, গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী হিসেবে সকলে আপনাকে চিহ্নিত করেন। একটা সত্যি কথা বলুন তো, অভিনেত্রীদের স্কিন শো করার বিষয়ে আপনার মত কী?
উত্তরে দিব্যা বলেন, ‘দেখুন, এই স্কিন শো বিষয়টা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার। কেউ যদি মনে করেন তাঁর অ্যাট্রাকটিভ বডি আছে আর সেটা তিনি এক্সপোজ করতে চান, তো অবশ্যই করতে পারেন। খোলামেলা পোশাক যদি তাঁকে মানায়, তার যদি চেহারা সুন্দর হয় তবে তিনি পারেন। এ নিয়ে এত আলাদা করে ভাবনাচিন্তার সময় কারও নেই। আচ্ছা, আমি বোল্ড বলেই কি এই প্রশ্নটা করলেন? মানে বোল্ড শব্দের মানে কি এটাই, যে স্কিন শো করা নিয়ে সাফ জবাব দেবে?’
তাকে আরও প্রশ্ন করা হয়- আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এপ্রিল ফুলে গাছ লাগিয়ে এপ্রিল কুলের কথা বলেন। অন্য দিকে স্যানিটারি ন্যাপকিনের সচেতনতা নিয়েও আপনি সোচ্চার। এগুলো কি দিব্যার অন্য মুখ?
তখন অভিনেত্রী বলেন, ‘আসলে চারপাশ নিয়ে আমার ভাবনাচিন্তা, অনুভূতিগুলো এরকম। আমি এর বাইরে তো নই। একজন পঞ্জাবি মেয়ে হিসেবে আমি বরাবর বিশ্বাস করেছি, যতটা সম্ভব মানুষের ভালো করা উচিত। এর তৃপ্তিটাই আলাদা। অক্ষয় কুমারের ‘প্যাডম্যান’ আমার খুব ভালো লেগেছে। দেখুন, আমাদের সমাজ এখনও সিনেমা নির্ভর। সিনেমার মাধ্যমে যদি কিছু পৌঁছনো যায়, তার চাইতে ভালো কী হতে পারে! আমি বরাবর মেয়েদের জন্য আলাদা করে ভাবি। তাদের একক শক্তি হিসেবে গড়ে তোলার উৎসাহ দেই।
সূত্র : আনন্দবাজার
এসএ/