উন্নত বিশ্বে কাচ শিল্পে নীরব বিপ্লব ঘটে যাচ্ছে
প্রকাশিত : ১১:৪৮ এএম, ২৬ মে ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:৪৮ এএম, ২৬ মে ২০১৬ বৃহস্পতিবার
উন্নত বিশ্বে কাচ শিল্পে নীরব বিপ্লব ঘটে যাচ্ছে। আবহাওয়া ও পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন উদ্ভাবন ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরী কাচ আমূল বদলে দিচ্ছে দুনিয়াকে। কাচ তৈরি থেকে শুরু করে এর ব্যবহার ও উপযোগিতায় এমন সব বৈচিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে যা দেখলে চমকে যাবে যে কেউ-ই।
পৃথিবীতে তিন ধরণের কাচ তৈরি হয়। ভবন বা স্থাপনার জানালা ও পার্টিশনে যে কাচ ব্যবহার করা হয় সেগুলোকে বলে স্টাকচারাল গ্লাস বা কাচ। বিভিন্ন যানবাহনে ব্যবহৃত কাচকে বলা হয়, লোকোমেটিভ গ্লাস। মোবাইল ফোন, চশমায় ব্যবহৃত কাচের নাম ইলেক্ট্রনিক্স গ্লাস। বিভিন্ন ধরণের কাজে ব্যবহৃত এসব কাচের ৮০ শতাংশ কাঁচামাল হলো গ্যাস ও বিশেষ ধরণের বালি। বাকি ২০ শতাংশ বিভিন্ন ধরণের কেমিক্যাল। উৎপাদিত এই কাচ বিভিন্ন ধরণের প্রক্রিয়াজাত শেষে বৈচিত্রপূর্ণ করে তোলা হয় মানুষের মেধা ও বুদ্ধিতে। কাচের ধরণ আর ব্যবহার এমন উচ্চতায় পৌঁছেছে যেখান থেকে বিদ্যুৎও সাশ্রয় করা যায়।
সারা বিশ্বের সর্বাধিক কাচ উৎপাদকারী প্রতিষ্ঠান জাপানের আশাহি গ্লাস টোকিও শহরেই একটি কাচের জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেছে ২০১০ সালে। ছোট পরিসরের দোতলা ছিমছাম গোছানো এই কাচ জাদুঘর, সত্যি এক কেরামতিরই জায়গা। কাচের তৈরি সিঁড়ি, ১ দশমিক ১ মিলিমিটারের পাতলা কাচে ২০০ গ্রাম ওজনের লোহার বল পড়েও না ভাঙ্গা, কাচ ভেদ করে গরম বা ঠা-া রুমের ভেতরে না ঢোকা, পাতলা কাচের ওপর সংয়ক্রিভাবে রঙিন ইমেজ ফুটে ওঠা ও জানালার কাচে বিস্ময়কর পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সোলার সিস্টেম সংযুক্ত করা , যা দেখে মনে হবে বিশ্বের বিখ্যাত কোনো শিল্পীর ডিজাইন এটি।
স্বচ্ছ কাচকে শিল্প বানিয়ে নগর বন্দরের স্থাপনায় রূপ সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা আর সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে এখন পৃথিবীব্যাপী।