প্রযুক্তিতে ৩১৪ বছর পিছিয়ে বাংলাদেশ : মোস্তাফা জব্বার
প্রকাশিত : ০২:৩৮ পিএম, ৫ এপ্রিল ২০১৮ বৃহস্পতিবার
প্রযুক্তিতে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ ৩১৪ বছর পিছিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, সেই ব্যবধান ঘুচিয়ে আনার জন্য আমরা কাজ করছি। দেশীয় প্রযুক্তি খাতের নানা বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা যাদেরকে উন্নত রাষ্ট্র বলছি তারা নিজেদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে আজকে নিজেদের এই অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে । কিন্তু আমরা যে সফটওয়্যার নিজেরা ৫ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করতে পারি তা ১০০ কোটি টাকা দিয়ে বিদেশ থেকে কিনতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। এটার জন্য মূলত আমাদের আমলাতন্ত্র দায়ী। তারা বিদেশী ব্র্যান্ডের জিনিস কেনা বাহাদুরি মনে করে।
আজ সকালে রাজধানী মতিঝিলে চেম্বার বিল্ডিংয়ে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স ( এমসিসিআই) এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। ‘Technology, Innovation and policy: How to proceed’ শীর্ষক এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন এমসিসিআই প্রেসিডেন্ট নিহাদ কবীর।
প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষিতদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত বলে মন্তব্য করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, কৃষি যুগ অনেক ভালো ছিল। তখন মানুষ স্বেচ্ছায় কৃষি কাজে যোগ দিতে পারত ও কৃষি কাজের সুযোগ ছিল। কিন্তু এখন কৃষি কাজ যেমন করা সম্ভব হচ্ছে না, তেমনি চাহিদা অনুযায়ী কাজ করাও সম্ভব হচ্ছে না।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী এ সময় বলেন, আমরা বর্তমানে যে শিক্ষা স্কুল কলেজে দিচ্ছি তা ইংরেজ আমলের শিল্প যুগের প্রথম স্তরের শিক্ষা। প্রযুক্তি শিক্ষার উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা কম্পিউটার শেখানো শুরু করি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় থেকে। কিন্তু সৃজনশীল ক্ষমতা ও মনে রাখার যে শক্তি তা বেশি থাকে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের। তাই আমরা চেষ্টা করছি প্রাথমিক স্তর থেকে শিক্ষার পরিবর্তন করতে।
মন্ত্রী এ সময় শিক্ষাক্ষেত্রে পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে চারটি বিষয়ের উপর সুপারিশ করেন। সুপারিশগুলো হলো শিক্ষার বিষয়বস্তুর পরিবর্তন করা, শিক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করা, কোন বিষয় বিষয় শিক্ষা থেকে গ্রহণ করে কোনটি বর্জন করব সেই সম্পর্কে ধারণা লাভ করা ও নতুন যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার ক্ষমতা অর্জন করা।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, ড. রোকনুজ্জামান প্রমুখ।
/ এআর /