‘বিদ্রোহী’ বিশ্ববিদ্যালয় আবারও সেরা তালিকায়
প্রকাশিত : ০৬:৫৯ পিএম, ৫ এপ্রিল ২০১৮ বৃহস্পতিবার
ভারতের সরকার-বিরোধী বলে ‘সমালোচিত’ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই সাফল্যের তালিকায় শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে আবারও।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) থেকে যাদবপুর, কিংবা হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়। বিজেপি তথা সঙ্ঘের একাংশ যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ‘সরকার বিরোধিতার আঁতুড়ঘর’ হিসাবে মনে করা হয়, দেখা যাচ্ছে, সেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই ভারতে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় উপরের সারিতে রয়েছে।
কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনস্থ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক (এনআইএফএম)-চলতি বছরের যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে গতবারের মতোই সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জেএনইউ। ষষ্ঠ স্থানে যাদবপুর। আর দলিত ছাত্র রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যা বিতর্কে বিজেপির রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়া হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে পঞ্চম স্থানে।
প্রসঙ্গত, জঙ্গি আফজল গুরুর মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতায় একসময়ে সরব হয়েছিলেন জেএনইউয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ। যে বিতর্ক ঝড় তোলে যাদবপুরেও। দিন কয়েক আগে জেএনইউ-এর ছাত্রছাত্রীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ নিয়েও তীব্র বিতর্ক হয়েছে। জেএনইউ এবং যাদবপুরের ফল নিয়ে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর গতবার বলেছিলেন, যাঁরা আফজল গুরুর সমর্থনে মুখ খোলেন, তাদের জন্য কিন্তু সাফল্য আসেনি। যাঁরা অন্তরালে, তাঁদের জন্যই সাফল্য এসেছে। ওই মন্তব্য নিয়ে সে সময় বিতর্ক হয়েছিল। ফলে এবার আপাতত কোনও মন্তব্য করেননি প্রকাশ।
গতবারের ধাঁচে এবার দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপর সমীক্ষা চালানো হয়। সামগ্রিক ভাবে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বিচার করা ছাড়াও, দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, ম্যানেজমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মেসি, আইন, স্থাপত্যবিদ্যা এবং দেশের সেরা ১০০ কলেজের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সামগ্রিক ভাবে এবং দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেতাব পেয়েছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স, বেঙ্গালুরু।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সেরা ২০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ভারতের শুধুমাত্র একটি প্রতিষ্ঠান স্থান পেয়েছে। আগামী দিনে ওই ছবি বদলাতে দশটি সরকারি ও দশটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী বলেন, ওই কুড়িটি প্রতিষ্ঠানের তালিকা ঠিক করার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। সরকার তাদের অর্থ সাহায্য দিলেও একই সঙ্গে স্বায়ত্তশাসনের অধিকারও দেওয়া হবে। তবে সামনের বছর থেকে যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই র্যাঙ্কিং সংক্রান্ত সমীক্ষায় অংশ নেবে না, তাদের অনুদান কমিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন জাভড়েকর।
সূত্র: আনন্দবাজার
একে//টিকে