কাগজের সংকট সৃষ্টিকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি
প্রকাশিত : ০৮:৫৬ পিএম, ৫ এপ্রিল ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:০৮ পিএম, ৫ এপ্রিল ২০১৮ বৃহস্পতিবার
কাগজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারী ও অতি মুনাফা লোভীদের আইনের আওতায় আনা সহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ লোকাল কার্টন ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বৃহস্পতিবার (০৫ এপ্রিল) সকালে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি’র সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের নেতারা।
এসময় সংগঠনটির সভাপতি এম. এ বাশার পাটওয়ারী বলেন, অতি মুনাফা লোভী ও কাগজকল মালিকদের সিন্ডিকেটের কারণে প্যাকেজিং শিল্পের কাঁচামালের দাম বেড়েছে। যারা এই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে। ২০১০-১১ অর্থবছরে কাগজ শিল্পকে ট্যারিফ সুবিধার আওতায় আনা হয়। এরপর বেপরোয়াভাবে এর মূল্য বৃদ্ধি হতে থাকে। তৎকালীন সময়ে প্যাকেজিং পেপারের মূল্য প্রায় দ্বিগুন হয়ে যায়। পরে আন্দোলনের মুখে তার দাম নিয়ন্ত্রণে আসে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি খুব দ্রুতই কাগজের কাঁচামালের দাম কমানোসহ উত্থাপিত সাত দফা দাকি মেনে নেওয়া হবে। আমাদের এসব দাবি যদি মেনে নেওয়া না হয় তবে আগামী সপ্তাহে মানববন্ধনসহ কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। তাই অতি দ্রুতই দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আহবান জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, লোকাল কার্টন ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ, কোষাধ্যক্ষ রুহুল আমিনসহ সংগঠনের নেতারা।
দাবিগুলো হচ্ছে: ১. প্রতিটি প্যাকেজিং কারখানাকে প্রতিটি পেপার মিলের শিল্পক্রেতা হিসেবে নিবন্ধন করা। ২. কাগজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারী ট্রেডার/ পড়িয়াদের দৌরাত্ব বন্ধের নিমিত্তে ট্রেডারদের নিকট পেপার মিল মালিকদের কাগজ বিক্রয় বন্ধ করা। ৩. কাগজ কলের ট্যারিক সুবিধা বাতিল করে অসম রাজস্ব/ভ্যাট নীতি বাতিল করা। ৪. প্রতিটি কাগজ কলে কাস্টমের নজরদারি বৃদ্ধিকরে ভ্যাট ছাড়া কাগজ বিক্রয় বন্ধ করা। ৫. সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট প্যাকেজিং পেপারের মূল্য সাবেক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। ৬. বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এনবিআর ও এফবিসিসিআই কতৃক কাগজের অসহনীয় মূল্য বৃদ্ধির কারণ উৎঘাটন ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ৭. প্যাকেজিং শিল্পের কালো আইনগুলো বাতিল করা।
এসি