ঢাকা, রবিবার   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ১৪ ১৪৩১

বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্র্ধারণের সুপারিশ ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনগুলোর

প্রকাশিত : ১১:৫৫ এএম, ২৭ মে ২০১৬ শুক্রবার | আপডেট: ১১:৫৫ এএম, ২৭ মে ২০১৬ শুক্রবার

সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা না বাড়িয়ে আসছে বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্র্ধারণের সুপারিশ করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনগুলো। একইসাথে বিনিয়োগ বাড়াতে অবকাঠামো নিশ্চিত করার পরামর্শও তাদের। এছাড়া নতুন ভ্যাট আইনের বিধি-বিধান শিথিল, কর্পোরেট ট্যাক্স হ্রাস, রফতানিতে নগদ সহায়তা বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান বাড়াতে উৎপাদনশীল খাতের ওপর জোর দিতে বলেছেন ব্যবসায়ীরা। বাজেট সামনে রেখে প্রতিটি ব্যবসায়ী সংগঠন এরই মধ্যে বৈঠক করে নিজ নিজ প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে এনবিআর-এ। বিজিএমইএ তাদের রাজেট প্রস্তাবনায় উৎসে কর কমিয়ে দশমিক শুন্য শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে। সঙ্গে আছে রপ্তানিতে নগদ সহায়তা বৃদ্ধি, কর্পোরেট কর ১০ শতাংশ বহাল রাখাসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব। এমসিসিআই ও ডিসিসিআই ব্যক্তি শ্রেনির করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে। ব্যক্তি শ্রেণীর সর্বোচ্চ কর হার ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ৩০ শতাংশ করাসহ কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছে এমসিসিআই। ডিসিসিআই মার্চেন্ট ব্যাংকের কর্পোরেট কর ৩৭ শতাংশের বদলে ৩৫ শতাংশ এবং ব্রোকারেজ হউজের কর্পোরেট কর ৩৫ শতাংশের বদলে ৩০ শতাংশ করতে বলেছে। সব ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রস্তাবনা সংকলন করে শীর্ষ সংগঠন-এফবিসিসিআই তাদের বাজেট প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে অর্থমন্ত্রনালয় ও এনবিআর এ, যেখানে আয়করে ১২৪টি, ভ্যাটে ৮৪টি এবং শুল্কে ২৩৯টিসহ মোট ৪৪৯টি প্রস্তাবনা আছে। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য পূরণে করের হার না বাড়িয়ে আওতা বাড়াতে জোর দেয়া হয়েছে। এছাড়া, বাজেটে ঘাটতি ৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার কথাও বলা হয়ছে এফবিসিসিআইএর বাজেট প্রস্তাবনায়।