পরীক্ষা জালিয়াতি চক্রের ১০ সদস্য আটক
প্রকাশিত : ১২:১০ এএম, ৮ এপ্রিল ২০১৮ রবিবার
ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষার্থীদের পাস করিয়ে দেওয়া চক্রটি ধরা পড়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) শুক্রবার রাতে রাজধানীর মিরপুর, নিউমার্কেট ও ফার্মগেটে অভিযান চালিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে।
তারা হলেন- সোনালী ব্যাংকের আইটি অফিসার অসিম কুমার দাস, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রবেশনারী অফিসার মো. সোহেল আকন্দ ও পূবালী ব্যাংকের প্রবেশনারী অফিসার মো. মনিরুল ইসলাম ওরফে সুমন, মো. জহিরুল ইসলাম, সাদ্দাতুর রহমান ওরফে সোহান, নাদিমুল ইসলাম, মো. এনামুল হক ওরফে শিশির, শেখ তারিকুজ্জামান, অর্ণব চক্রবর্তী ও আরিফুর রহমান ওরফে শাহিন।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে ক্ষুদে ব্যাটারি, ইয়ারফোন, মোবাইল ফোনের ন্যায় কথা বলার সিম সংযুক্ত মাস্টারকার্ড।
পুলিশ সূত্র জানায়, চক্রটির মূল হোতারা নিজেরা পরীক্ষায় জালিয়াতি করে নিয়োগ পান। চাকরি পাওয়ার পরও মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেই জালিয়াতি করে আসছিল চক্রটি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন গণমাধ্যমকে বলেন, এ চক্রটি বিসিএস, মেডিকেল, ব্যাংক পরীক্ষাসহ সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি করে।
পরীক্ষার দিনে চুক্তিবদ্ধদের কাছে ডিভাইস সরবরাহ করত। পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র বাইরে ফাঁস করে দেওয়া হত। এরপর বাইরে থাকা প্রশ্ন এক্সপার্টদের মাধ্যমে ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত কানে লাগানো ক্ষুদে হেডফোনে এমসিকিউ ভরাট করে চুক্তিবদ্ধরা।
গণমাধ্যমকে তিনি আরো বলেন, এ চক্রের সদস্যরা তিনভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ করে। একটি চক্র মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হতে যোগাযোগ করে। অন্য চক্রটি প্রশ্নপত্র ফাঁস করার জন্য ডিভাইস ব্যবহার করে ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। অন্য অংশটি ডিভাইস সরবরাহে সহযোগিতা করে।
এডিভাইসে কল রিসিভ করা গেলেও ওই ডিভাইসে কল করা যায় না। শুধু ইনকামিংকল অটো রিসিভ হয়। ওপার থেকে উত্তর শুনে সেট কোড মিলিয়ে চুক্তিবদ্ধরা পরীক্ষা দেয়।
এদিকে গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জিজ্ঞাসাবাদে জালিয়াত চক্রের আদ্যোপান্ত জানা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আর