‘দুপুর ঠাকুরপো’ নিয়ে হইচই
প্রকাশিত : ০৯:২৭ এএম, ৮ এপ্রিল ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৯:৫৩ এএম, ৮ এপ্রিল ২০১৮ রবিবার
অনলাইন স্ট্রিমিং চ্যানেল ‘হইচই’-এর অন্যতম জনপ্রিয় শো ‘দুপুর ঠাকুরপো’র প্রথম সিজন শেষ হয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় সিজন আসার কথা। হঠাৎ জানা গেল স্বস্তিকা সেই শো আর করবেন না। অভিনেত্রীর কাছে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, চিত্রনাট্য না পেলে তিনি শো করবেন না। শোয়ের পরিচালনা কে করছেন, সেটাও জানাতে হবে তাঁকে। নির্মাতা সংস্থা টিভিওয়ালা মি়ডিয়ার কাছ থেকে জবাব না পেয়ে শো ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন স্বস্তিকা। তার এই কথা শুনে নির্মাতারা নতুন মুখ নিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু টিভিওয়ালা মি়ডিয়ার কর্তৃপক্ষ অমিত গঙ্গোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে স্বস্তিকাকে একটি টেক্সট পাঠান। সেখানে তিনি অভিনেত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতে আবারও কাজ করবেন বলে উল্লেখ করেন। ঠিক এইখানেই আপত্তি স্বস্তিকার।
এরপরই উত্তেজিত হয়ে স্বস্তিকা বলেন, ‘আমি শো ছেড়ে দিয়েছি, তার বদলে অন্য এক জন করবে। মিটে গেছে ব্যাপারটা। তার পরেও টেক্সট করে ন্যাকামি করার মানেটা কী! এরা চূড়ান্ত অপেশাদার বলেই কাজটা আর করছি না। আমার কাছ থেকে ডেট চাইছে আর সামান্য একটা চিত্রনাট্য পাঠাতে পারছেন না! গত চার-পাঁচ মাস ধরে ‘জানাচ্ছি’ বলে কাটিয়ে গেছে। ‘দুপুর ঠাকুরপো’তে চিত্রনাট্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এক চুল এদিক-ওদিক হলে পুরোটা অশ্লীল মনে হবে! আমি মুখ্য ভূমিকায়। তাই প্রশ্ন, প্রশংসা, নিন্দা সবটাই আমার দিকে আসবে। সুতরাং শোয়ের কনটেন্ট নিয়ে আমাকে তো ভাবতে হবেই।’
‘দুপুর ঠাকুরপো’র প্রথম সিজনের পরিচালক ছিলেন দেবালয় ভট্টাচার্য। স্বস্তিকার কথায়, ‘দ্বিতীয় সিজনের পরিচালকের নামটাও ওরা বলতে পারেনি!
স্বস্তিকা আরও বলেন, ওদের মধ্যে পেশাদারিত্বের ছিটেফোঁটা নেই। রাত দুপুরে ফালতু মেসেজ করছে। আমি ‘দুপুর ঠাকুরপো’ নিয়ে কথা বলছি বলেই ওদের পাবলিসিটি হচ্ছে, এটা আবার নিজেরাই নির্লজ্জের মতো বলছে! সত্যিই তো, আমি আজ পাবলিক ফোরামে না বললে ওদের নাম কেউ জানতেও পারত না। আমাকে ছাড়া ওদের যে আপস করেই শো চালাতে হচ্ছে, তা এই টেক্সটের বহর দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এ রকম মেসেজ আগেও এসেছে। এবার মুখ না খুলে থাকতে পারলাম না। আমি না থাকলে ‘দুপুর ঠাকুরপো’ হিটও করত না।’
স্বস্তিকার আপত্তি টিভিওয়ালা মিডিয়াকে নিয়েই। কিন্তু ‘হইচই’ যেহেতু ‘এসভিএফ’-এর, তাই তাদের সঙ্গেও অভিনেত্রীর সমস্যা রয়েছে বলে চর্চা চলছে। একই সময়ে তিনি বিরসা দাশগুপ্তর ছবির কাজও ছাড়েন। ফলে গুজব আরও বাড়তে থাকে।
স্বস্তিকা অবশ্য বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে বললেন, ‘আমার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে ‘এসভিএফ’-এর। ‘আমি আসবো ফিরে’র প্রচারও করছি। আসলে আমি ছাড়া তো আর কেউ এগুলো নিয়ে সোচ্চার হয় না। ভাবে, কাজ পাবে না। কিন্তু কোথাও প্রতিবাদ করা দরকার। একে বাজেট নেই, তার উপর চিত্রনাট্য দেবে না, নির্দেশকের ঠিক-ঠিকানা নেই, তা-ও নাকি কাজ করতে হবে! কোন সাহসে ভবিষ্যতে কাজ করতে চাওয়ার কথা বলে? আমি অন্তত এই সংস্থার সঙ্গে আর কাজ করব না।’
এদিকে শ্রীলেখাকে কেন্দ্র করে ঘটেছে অন্য ঘটনা। শ্রীলেখাও ‘দুপুর ঠাকুরপো’ করছেন না। তার বদলে কাজ করছেন মোনালিসা নামে এক ভোজপুরি অভিনেত্রী। এর আগে ‘বিগ বস’-এ দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু কেন হঠাৎ ঘটনার এমন দিক পরিবর্তন? শ্রীলেখাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি তেমন কিছুই বলেননি। শুধু জানান, আগামী সপ্তাহে পুরো বিষয়টা নিয়ে একটা সংবাদ সন্মেলন করতে চান তিনি। বেশ কিছু অন্যায় তাঁর চোখে পড়েছে, যার প্রতিকার চান অভিনেত্রী। বিষয়বস্তুর কয়েকটা জিনিস অপছন্দ হয়েছে বলেই শো করতে চাননি তিনি।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
এসএ/