ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

চট্টগ্রামে চাহিদার তুলনায় পানি সরবরাহ কম(ভিডিও)

প্রকাশিত : ১১:১৩ এএম, ৮ এপ্রিল ২০১৮ রবিবার

চাহিদার তুলনায় ৩০ শতাংশ কম পানি সরবরাহ করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে আট হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে তিনটি মেগা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। তিন বছরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ২০২০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম হবে পর্যাপ্ত সুপেয় পানির নগরী। থাকবে না কোনো নলকূপ। স্বীকৃতি মিলবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম নলকূপবিহীন নগরীর।

একদিকে বঙ্গোপসাগর, পাশেই কর্ণফুলী নদী। রয়েছে বিশাল প্রাকৃতিক ফয়’সলেক। এরপরও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী চট্টগ্রামে সুপেয় পানির সংকট কাটছেই না। সরকারী পরিসংখ্যানে নগরীর জনসংখ্যা ২৯ লাখ, বাস্তবে এর দ্বিগুন বলেই মনে করেন অনেকে।

চট্টগ্রাম ওয়াসা লোকসংখ্যা ৪০ লাখ ধরেই প্রকল্প পরিকল্পনা করে। তাই রয়েই গেছে পানি সংকট। বর্তমানে ওয়াসার সরবরাহ করে ৩০ কোটি লিটার পানি। জাইকা ও বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় তিনটি মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আরও ১৬ কোটি লিটার পানি পাওয়া যাবে ২০২০ সালে। ৪৬ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা গেলে সংকট থাকবে না বলে দাবি করলেন ওয়াসার এই কর্মকর্তা।

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বাড়ছে ব্যবসা বাণিজ্য ও শিল্পায়ন। গ্রাম থেকে নগরমুখী হচ্ছে মানুষ। এর সঙ্গে পরিকল্পনা করে পানির চাহিদা নিশ্চিত করা সত্যিই কঠিন কাজ বলে মনে করেন নগরবিদরা।

ওয়াসা বলছে, ৮ হাজার কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগে সরবরাহ ব্যবস্থায় আধুনিক পদ্ধতি চালু হবে, নিশ্চিত করা যাবে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ। মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে ২০ হাজারের মতো গভীর-অগভীর নলকূপ বেআইনি ঘোষণা করার কথাও জানান ওয়াসার এই কর্মকর্তা।