পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধে ৪৯৭ ধারা বাতিলের দাবি
প্রকাশিত : ০৫:৪৩ পিএম, ৮ এপ্রিল ২০১৮ রবিবার
পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে মানবাধিকার ভিত্তিক একটি সংগঠনের কর্মকর্তা ও সদস্যরা। বাংলাদেশ মেন’স রাইটস ফাউন্ডেশন নামক সংগঠননের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সাম্প্রতিক সময়ে পরকীয়ার বলি হয়ে প্রাণ দেওয়া অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিকের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয় এ মানববন্ধন থেকে।
আজ রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এ মানব বন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি শেখ খাইরুল আলম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার কর্মী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আল আমীন, মো. শামীম আল হাসান ও মো. নুরুজ জামান প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ব্যভিচার করার পরও নারীকে আইনে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী ব্যাভিচারের দায় পুরুষের উপর বর্তায়। ব্যাভিচারের সহযোগী হিসেবে নারীর উপর দোষ চাপানো হয় না। ফলে নারীরা পরিকীয়ায় উৎসাহী হয়। আর তার ফলে সমাজে বিশৃংখলা দিন দিন বাড়ছে। সাম্প্রতিক সময়ে স্ত্রী ও তার প্রেমিক দ্বারা অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিককে হত্যা তারই ধারাবাহিকতা মাত্র।
বক্তারা এসময় বলেন, পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে পুরুষ কোনো সুরক্ষা পায়না। ফলে স্ত্রী যখন পরকীয়ায় জড়ায়, তার জন্য নানা ভাবে পুরুষকে শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। তখন সে ( পুরুষ) কোথাও আইনি সুরক্ষ পায়না। ফলে অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক নিজে একজন আইনজীবী হয়েও রাষ্ট্রের কাছে কোনো ধরণের সহায়তা চাননি বা চাইতে পারেননি। কারণ তিনি জানতেন, এর ফলে রাষ্ট্রের আইন একতরফা।
বক্তারা এ সময় আরও বলেন, রাষ্ট্রের আইনের কাছে পুরুষরা অসহায়। ১৮৬০ সালের প্রনীত আইনে নারীকে পরকীয়ায় উৎসাহী করা হয়েছে। যার ফলে প্রতিদিন আমরা পরকীয়ার বলি হয়ে পুরুষদের মরতে দেখছি। এখনি এর প্রতিকার করা না গেলে ভবিষ্যতে তা মহামারী আতার ধারণ করবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি রংপুর কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার স্ত্রী ও স্ত্রীর কথিত প্রেমিক তাকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রেখেছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে দেশ জুড়ে হৈ চৈ শুরু হয়।
এএ/ এমজে