ফলাহার- কখন খাবেন, কখন খাবেন না?
প্রকাশিত : ০৭:০৮ পিএম, ৮ এপ্রিল ২০১৮ রবিবার
সুস্বাস্থ্যের জন্য ফলমূল খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। ফলমূলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেলস, আঁশ ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। তবে ফলমূল কখন খাবেন, কখন খাবেন না, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, খাবারের সময় অন্তত অর্ধেক প্লেট ফলমূল ধারা পূর্ণ রাখা উচিত। তবে সবজি যে কোন সময় খাওয়া যায় বলেও জানান তারা। তাদের গবেষণা মতে, ফলমূল নির্দিষ্ট সময়ে খেতে হবে। বিশেষ করে ফলে চিনির পরিমাণ বিবেচনা রেখে নির্দিষ্ট সময়ে তা খেতে হবে।
ফলমূলকে সুপারফুড বলা হয়, কারণ এতে প্রয়োজনীয় পুষ্ঠি উপাদানের সবকিছুই পাওয়া যায়। তবে আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে, দিনের যে কোন সময় আপনি ফলাহার করতে পারবেন না। মনে রাখতে হবে, খাবারের পরপরই কোনো ধরণের ফল খাওয়া যাবে না। এর কারণ হিসেবে গবেষকরা বলেন, সুগার, কার্বোহাইড্রেড ও ব্যাকটেরিয়া খাবারকে পচিয়ে ফেলে, যা হজমক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে।
ভারতের বিখ্যাত পুষ্ঠিবিদ শিল্পা আরোরা ওই গবেষণার সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, ফলমূল নিজেও একটা খাবার। তাঁদেরকে অবশ্যই মূল খাবারের সঙ্গে খাওয়া যাবে না। ফলের মধ্যে থাকা সুগার ভারী প্রোটিন খাবারের পর খেলে, তা হজম ক্রিয়ায় সমস্যার সৃষ্টি করে। এই গবেষণার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন ভারতের মুম্বাই গ্লোবাল হাসপাতাল মুম্বাইয়ের চিকিৎসক ডা. জামরুদ প্যাটেল। তিনি বলেন, খাবারের সঙ্গে ফলাহার করলে, ফলের মধ্যে থাকা পুষ্ঠি কোষগুলো শোষণ করতে পারে না। তাই মূল খাবার খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পর ফলাহার করতে হবে।
ডা. প্যাটেল আরও বলেন, ফল খাওয়ার উপযুক্ত সময় হলো সকাল বেলা। বিশেষ করে একগ্লাস পানি পান করার পর ফলাহার করাটাই উত্তম। বিশেষ করে যারা ওজন কমাতে চান, তারা সকাল বেলা ফলাহার করা উচিত। এতে প্রচুর শক্তি পাওয়া যায়, পাশাপাশি ওজনও কমে। এ ছাড়া সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবারের মাঝখানে ও সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে ফলাহার করা যায়।
এদিকে খাবারের ৩০ মিনিট আগে ফলাহার করলে অতি ভোজনের অভ্যাস থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। বিশেষ করে ফাইবারযুক্ত (আঁশযুক্ত) খাবার মূল খাবারের আগে ৩০ মিনিট আগে গ্রহণ করলে হজমক্রিয়া বাড়ে। এদিকে রাতে কোনোভাবেই ফলাহার করা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এতে রাত্রে তন্দ্রা ও নিদ্রা দুই-ই দূর হয়ে যায়। তাই রাতে কোনোভাবেই রাতে ফলাহার করা যাবে না।
যেহেতু ফলমূল সুস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় দরকারি খাবার, তাই যথাসময়ে নিয়ম মেনে তা খেতে হবে।
সূত্র: এনডিটিভি
এমজে/