প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে সন্দীপের ৫৫টি প্রাথমিক স্কুল
প্রকাশিত : ১০:৩১ পিএম, ৮ এপ্রিল ২০১৮ রবিবার
প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে সন্দ্বীপ উপজেলার এক-তৃতীয়াংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। তাই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের উপর ভর করেই কোন রকমে জোড়াতালি দিয়ে চলছে বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো-ই নয়, উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসও চলছে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার দিয়ে। এ যেন ভারপ্রাপ্তের ভারে ভারী হয়ে ওঠেছে সন্দীপের শিক্ষা কার্যক্রম।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৫০টি। এরমধ্যে ৫৫টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেই। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকগণ অবসরে যাওয়ার কারণে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য হয়। দীর্ঘদিন ধরে এসব পদে নিয়োগ না হওয়ায় সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বিদ্যালয়গুলোতে দেখা দিয়েছে শিক্ষক সংকট। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষকের অভাবে বিদ্যালয়গুলোতে সৃষ্টি হচ্ছে প্রশাসনিক সমস্যা।
উপজেলায় শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মগধরা হাজেরা ইসলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, হাজেরা ইসলাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা প্রায় ৬০০। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনায় অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদ ৫ জন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক না থাকায় প্রশাসনিক ও অন্যান্য কাজে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। ফলে বাকী তিনজন শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়ের পাঠদানে অসুবিধা হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের চিত্রও একই রকম। ১৩ পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ৪ কর্মকর্তা। শিক্ষা অফিসারের পদ একবছর ধরে শূন্য। সহকারী শিক্ষা অফিসার পদে ৭ জনের মধ্যে রয়েছেন মাত্র ২ জন। উচ্চমান সহকারী রয়েছেন ১ জন। কম্পিউটার অপারেটরে ১ জন ও এমএলএসএস পদে ১ জনের পদ শূন্য রয়েছে। হিসাব রক্ষক পদে ২ জনের মধ্যে রয়েছেন ১ জন। তাই স্বল্প জনবল দিয়ে পুরো উপজেলার এতগুলো বিদ্যালয়ের দেখভাল করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলার ৫৫টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়গুলোতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগীদের ধারণা, দ্রুত যদি এসব বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া না হয়, তবে শিশুরা লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়বে’।
কেআই/