ঢাকা, রবিবার   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ১৪ ১৪৩১

উঁচু ভবন তৈরির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল ১শ ২৬ বছর আগে

প্রকাশিত : ০৬:১৯ পিএম, ২৭ মে ২০১৬ শুক্রবার | আপডেট: ০৬:১৯ পিএম, ২৭ মে ২০১৬ শুক্রবার

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোন দেশ কত উঁচু ভবন বা ল্যান্ডমার্ক তৈরি করতে পারে সেই প্রতিযোগিতা একশ’ ২৬ বছর আগে শুরু হয়েছিল ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের আইফেল টাওয়ার দিয়ে। তিনশ’ ২৪ মিটার উচ্চতার পৃথিবীর প্রথম এই টাওয়ার ঐতিহ্য আর মর্যাদার দিক থেকে এখনো অনন্য। সোয়াশো বছর ধরে অনেকেই চেষ্টা করে বাড়িয়েছে এ’সব নামকরা ল্যান্ডমার্কের উচ্চতা। জাপানের টোকিও নগরে ছয়শ’ ৩৪ মিটার উচ্চতার সর্বোচ্চ টাওয়ারটি তৈরি হয়েছে ২০১২ সালে- যার নাম টোকিও স্কাই ট্রি। এই টাওয়ারে উঠে গোধূলিলগ্নে জাপান সিটি দেখে তৈরি হয় রোমাঞ্চকর অনুভূতি। আইফেল টাওয়ার নির্মাণের ৭৮ বছর পর ১৯৬৭ সালে রাশিয়ার মস্কোতে ৫৪০ মিটারের সুউচ্চ টাওয়ার নির্মিত হয়, যার নাম ওস্তাকিনো টাওয়ার। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের টুইন টাওয়ার, চীনের বাণিজ্যিক রাজধানী সাংহাইয়ের ওরিয়েন্টাল পার্ল, এরপর একইদেশে গুয়াংজো সিটির ৬০০ মিটার উচ্চতার ক্যান্টন টাওয়ার ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ল্যান্ডমার্ক। মাত্র ৩ বছরের ব্যবধানে চীনের সেই অহংকার ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতির আরেক শক্তিশালী দেশ জাপান। তাদের বানানো স্কাই ট্রি’র উচ্চতা ৩৪ মিটার বেশি। ছয়, তিন, চার এই তিনটি সংখ্যা জাপানীদের কাছে বেশ প্রিয় ও পরিচিত। প্রিয় এই সংখ্যা কাজে লাগিয়ে সহজে মনে রাখার অভিনব কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে টাওয়ারের উচ্চতা নির্ধারণের ক্ষেত্রেও। অনেক দূর থেকে সুউচ্চ এই ভবনের স্থাপত্য সৌন্দর্যে মুগ্ধ হওয়ার আগে এর অবয়ব দেখেই মনে হবে এটি ভবন না কোনো বিশাল এক গাছ! প্রায় ২০০ তলার সমান উচ্চতার এই ভবনের উপরে উঠতে দ্রুততম গতির লিফটে সময় লাগে মাত্র কয়েক সেকেন্ড। শুধু জাপানী নয়, ইউরোপ, আমেরিকার পাশাপাশি পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের জন্য এক আকর্ষণীয় বিনোদন কেন্দ্র এই স্কাই ট্রি। উপরে উঠলে এর বৈচিত্র্য আর আকর্ষণ মুগ্ধ করে পর্যটকদের। এর উপরে রয়েছে খাবারের রেস্টুরেন্ট, সুভ্যেনির কেনাকাটার দোকান, দিন তারিখ আর বছরসহ কায়দা করে ছবি তোলার সুন্দর স্পট। চারপাশ থেকে জাপান সিটির সৌন্দর্য উপভোগ করা এবং রাতের জাপান দেখতে কেমন সেই দৃশ্যও মন ভরিয়ে দেয় দর্শনার্থী, পর্যটকদের। সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মাত্র চার বছরেই এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকা জাপানের এই ল্যান্ডমার্ক রক্ষায় মাটির নিচে প্রতিটি পিলারের দৈর্ঘ্য ৪১০ ফুট। ২০১২ সালের মে মাসে উদ্বোধনের পর এখন পর্যন্ত এই ল্যান্ডমার্কের দর্শনার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৬ লাখ।