ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

নারীর স্বাস্থ্য ও নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন

প্রকাশিত : ১১:০৯ এএম, ২৮ মে ২০১৬ শনিবার | আপডেট: ১১:০৯ এএম, ২৮ মে ২০১৬ শনিবার

দেশে মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে। তবে শহরের চেয়ে গ্রামের নারীরা মাতৃত্বকালীন পুষ্টি ও সচেতনার অভাবে জটিলতায় বেশি ভূগছেন। নারীর স্বাস্থ্য ও নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে তাইতো সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সুস্থ মা-ই জন্ম দিতে পারেন সুস্থ শিশুর। আর নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে অন্ত:স্বত্বা মায়ের সঠিক পরিচর্যার বিকল্প নেই। আর সমাজ পরিবর্তন আর নারীর ক্ষমতায়নের আগে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দরকার মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, নারীর সুস¦াস্থ্য সংরক্ষণ এবং পরিবারের সবাইকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান দান। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান বলছে, মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী ২০১৫ সালে সারা বিশ্বে তিন লাখ তিন হাজার নারীর মৃত্যু হয়, যা ১৯৯০ সালের ৫ লাখ ৩২ হাজার মাতৃ মৃত্যুর তুলনায় অনেক কম। আইসিডিডিআরবির মতে, ২০১০ সালে মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৮৪৮ জনে। সেভ দ্য চিলড্রেনের ‘স্টেট অব দ্য ওয়ার্ল্ড মাদার ২০১৫ জরিপে বিশ্বের ১৭৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের মায়েদের স্বাস্থ্যগত অবস্থান ধরা হয়েছে ১৩০-এ। তবে এখনো বাল্যবিবাহ ও কিশোরী মায়ের পুষ্টিহীনতা, রক্তস্বল্পতা, গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ, সুচিকিৎসার অভাবে নারীর নিরাপদে মা হওয়ার স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়। শহরের তুলনায় গ্রামের অধিকাংশ গর্ভবতী মায়েরা স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সচেতনতার অভাবে অনেকসময় জটিল সমস্যায় ভুগেন বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, মাতৃমৃত্যু হার কমাতে পরিবার পরিকল্পনা, দক্ষ প্রশিক্ষিত কর্মীর মাধ্যমে সন্তান জন্মদান এবং প্রসূতির সঠিক যত্ম নেয়ার ওপর জোর দিতে হবে। নারী শিক্ষা গ্রহণের হার বৃদ্ধি, বাল্যবিয়ের হার হ্রাস, প্রযুক্তি ও খাদ্যাভ্যাসের উন্নয়ন হলে, মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নয়নও হবে বলে মনে করেন তারা।