নারিনের ঝড়ে কলকাতার জয়
প্রকাশিত : ১০:২২ এএম, ৯ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার
১৭ বলে হাফসেঞ্চুরি হাঁকান নারিনদুর্দান্ত একটি ওভার করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর রানের লাগাম টেনে ধরলেন নিতিশ রানা। খণ্ডকালীন এ অফ স্পিনার এরপর দায়িত্ব নিলেন ব্যাট হাতে। তার সঙ্গে সুনীল নারিনের ঝড়ো হাফসেঞ্চুরি গড়ে দিলো কলকাতা নাইট রাইডার্সের জয়ের পথ। ৭ বল হাতে রেখে তারা সেই পথ পার হলো দিনেশ কার্তিকের ব্যাটে।
রোববার আইপিএলের ১১তম আসর জিতে শুরু করলো কলকাতা। তারা ৪ উইকেটে হারিয়েছে বেঙ্গালুরুকে। ৭ উইকেটে ১৭৬ রান করেছিল বেঙ্গালুরু। ১৮.৫ বল খেলে ৬ উইকেটে কলকাতা করে ১৭৭ রান।
ইডেন গার্ডেন্সে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে হোঁচট খায় কলকাতা। দলীয় ১৬ রানে ক্রিস লিনকে (৫) হারায় তারা। তারপরই ঝড় তোলেন নারিন। ক্যারিবিয়ান ওপেনার ১৭ বলে হাঁকান ফিফটি। চারটি চার ও পাঁচটি ছয়ে পঞ্চাশ ছোঁন তিনি। কিন্তু আর দুটি বল খেলে ৫০ রানে উমেশ যাদবের শিকার হন নারিন। বেঙ্গালুরুর এ পেসারের পরের ওভারে আরও একটি উইকেট হারালে নিতিশ ও কার্তিকের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় কলকাতা।
তারা দুজনে ৫৫ রানের জুটি গড়েন। ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে থামেন নিতিশ, ২৫ বলে দুটি করে চার ও ছয়ে ৩৪ রান করেন তিনি।
ক্রিস ওকসের টানা দুই ওভারে আরও দুটি উইকেট হারালেও কার্তিকের ব্যাটে সহজ জয়ের পথে ছিল কলকাতা। ২৯ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন দলটির অধিনায়ক।
বেঙ্গালুরুর পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ওকস, আর দুটি পান উমেশ।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বেঙ্গালুরুর। ১৮ রানে কুইন্টন ডি কককে হারায় তারা। তবে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, বিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্স ও মন্দীপ সিংয়ে ব্যাটিং ঝড় সেই ধাক্কা সামাল দেয়।
কোহলির সঙ্গে ম্যাককালাম ৪৫ রানের জুটি গড়ে মাঠ ছাড়েন। নিউজিল্যান্ডের এই ওপেনার ২৭ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৪৩ রান করেন। ডি ভিলিয়ার্স ও কোহলির ৬৪ রানের জুটি দলের বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেয়। কিন্তু ১৫তম ওভারে নিতিশের পরপর দুই বলে আউট হন ডি ভিলিয়ার্স ও কোহলি। দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান ২৩ বলে ১ চার ও ৫ ছয়ে করেন ইনিংস সেরা ৪৪ রান।
৩৩ বলে ৩১ রান করে আউট হন কোহলি। শেষ দিকে মন্দীপের ১৮ বলে ৪টি চার ও ২টি ছয়ে সাজানো ৩৭ রান ভালো অবদান রাখে।
কলকাতার পক্ষে দুটি করে উইকেট পান নিতিশ ও বিনয় কুমার। ক্রিকইনফো।
এসএইচ/