ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

পিএসসির বার্ষিক প্রতিবেদন

বিসিএসে পিছিয়ে পড়ছেন নারীরা

প্রকাশিত : ১১:৫৫ এএম, ৯ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার

দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে গেলেও সবচেয়ে মর্যাদার চাকরি বিসিএসে পিছিয়ে পড়ছে তারা। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম-কমিশন (পিএসসি) রোববার সংসদের বৈঠকে ২০১৭ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সর্বশেষ পাঁচটি বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল পর্যালোচনায় এ চিত্র পাওয়া গেছে। সংসদের বৈঠকে প্রতিবেদনটি জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পক্ষে উত্থাপন করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক। এর আগে বিকেল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিসিএসের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া পুরুষ ও নারী প্রার্থীদের হার বিশ্নেষণে দেখা গেছে, ৩২তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষায় ৪৪ দশমিক ৯০ শতাংশ (৭৫২ জন) পুরুষ উত্তীর্ণ হয়েছেন। কিন্তু নারীদের উত্তীর্ণ হওয়ার হার ৫৫ দশমিক ১ শতাংশ (৯২৩ জন)।
পর্যায়ক্রমে ৩৩তম বিসিএসে পুরুষদের উত্তীর্ণের হার ৬১ দশমিক ৭৪ শতাংশ (৫ হাজার ২৫২ জন) ও নারী উত্তীর্ণের হার ৩৮ দশমিক ২৬ শতাংশ (৩ হাজার ২৫৫ জন)।
৩৪তম বিসিএসের ফল বিশ্নেষণে দেখা যায়, এতে পুরুষ উত্তীর্ণের হার ৬৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ (এক হাজার ৪০১ জন), নারী উত্তীর্ণের হার ৩৫ দশমিক ৬২ শতাংশ (৭৭৫ জন)।
৩৫তম বিসিএসে এই হার পুরুষ ৭২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ (এক হাজার ৫৭২ জন), নারী ২৭ দশমিক ৯২ শতাংশ (৬০৯ জন)। ৩৬তম বিসিএসে এই হার পুরুষ ৭৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ (এক হাজার ৭১৪ জন) ও নারী ২৬ দশমিক ২২ শতাংশ (৬০৯ জন)।
এদিকে গত বছর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হওয়া ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষায় মোট যোগ্য পরীক্ষার্থী ছিলেন দুই লাখ ১১ হাজার ২৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ উত্তীর্ণ ছিলেন এক লাখ ৪১ হাজার ২৭০ জন (৬৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ), নারী ৭০ হাজার ৬ জন (৩৩ দশমিক ১৩ শতাংশ) ও তৃতীয় লিঙ্গের ছিলেন ৬ জন (শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ)।
প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সংখ্যার দিক থেকে সব চেয়ে বেশি নারী প্রার্থী চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয় ৩৩তম বিসিএসে ৩ হাজার ২৫৫ জন; আর সবচেয়ে কম উত্তীর্ণ হয় ৩৬তম বিসিএসে ৬০৯ জন। গত বছর (২০১৭ সালে) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এতে মোট যোগ্য পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ১১ হাজার ২৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ছিল ১ লাখ ৪১ হাজার ২৭০ জন (৬৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ), নারী ৭০ হাজার ৬ জন (৩৩ দশমিক ১৩ শতাংশ) ও তৃতীয় লিঙ্গ ৬ জন (০.০০৩ শতাংশ)। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রিলিমিনারি টেস্টে এক লাখ ৯ হাজার ২ জন (৭৯ দশমিক ৭০ শতাংশ) ‍পুরুষ ও দুই হাজার ৭৭৭ জন (২০ দশমিক ৩০ শতাংশ) নারী উত্তীর্ণ হয়। লিখিত পরীক্ষায় চার হাজার ৭৮০জন (৭৯ দশমিক ৮০ শতাংশ) পুরুষ ও এক হাজার ২১০জন (২০.২০শতাংশ) নারী উত্তীর্ণ হয়। এরপর মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে  নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্তদের (চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ) মধ্যে এক হাজার ৭১৪ জন (৭৩.৭৮ শতাংশ) ছিলেন পুরুষ এবং ৬০৯ জন (২৬ দশমিক ২২ শতাংশ) ছিলেন নারী
/এআর /