রাজধানীর চারপাশের নদীগুলোর হবার কথা ছিলো আশীর্বাদ, হয়েছে অভিশাপ
প্রকাশিত : ০৭:২১ পিএম, ২৮ মে ২০১৬ শনিবার | আপডেট: ০৭:২১ পিএম, ২৮ মে ২০১৬ শনিবার
হবার কথা ছিলো আশীর্বাদ, হয়েছে অভিশাপ। রাজধানীর চারপাশের নদীগুলোর কথা। মাত্রাতিরিক্ত দূষণ আর দখলে এসব এখন নগরবাসীর গলার কাঁটা। থেমে গেছে চিরচেনা প্রবাহ। পানিতে যে সব উপাদান থাকার কথা, তার একটিও নেই। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ২০ বছরের মধ্যে পানি সংকটের আশংকা করছেন বিশেজ্ঞরা।
বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষা, তুরাগ ও বালু। ঢাকাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে গুরুত্বপূর্ণ এই চার নদ-নদী। ২২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এমন নদীপথ বিশ্বের আর যেসব নগরীকে আশীর্বাদ দিয়েছে, তা নেহায়েত হাতে গোনা। ঢাকার জন্য এই নদ-নদীগুলোর চিত্র কিন্তু এখন আর আশীর্বাদের নয়, যতটো হবার কথা ছিলো। শিল্পবর্জ্য ও আবাসিক বর্জ্য মিশে নদীর পানি আর পানি নেই। বিষাক্ত তরলের আধার।
কলকারখানা থেকে মাটির নিচ দিয়ে দীর্ঘ পাইপ টেনে অপরিশোধিত বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদীতে। ঢাকা মহানগরীতে এই পয়:বর্জ্যের পরিমান দিনে প্রায় ১৪ লক্ষ ঘন মিটার। শুধু বর্জ্যই নয়, নদীর তলদেশে পলিথিনের মোটা স্তর পড়েছে।
মাত্রাতিরিক্ত দূষণে সদরঘাটে বুড়িগঙ্গার পানি কুচকুচে কালো, হাজারিবাগে লাল, তুরাগের পানি কোথাও কালো কোথাও গাঢ় নিল, বালু নদীর পানি ধূসর। বিষাক্ত তরল বর্জ্যে মরে যাচ্ছে নদীর জলজ প্রাণী আর বিপন্ন হয়ে পড়ছে নাগরিক জীবন।
চার নদ-নদীর ২২০ কিলোমিটারজুড়েই চলছে দখলবাজী। খাতায় কলমে বিআইডব্লিটিএর কাছে প্রায় দেড় হাজার একর জমি দেখানো হলেও, এর প্রায় অর্ধেক চলে গেছে অবৈধ দখলে। একুশের চোখে ধরা পড়েছে এমন প্রায় ১৫ হাজার দখলবাজ। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তারা বীরদর্পে নির্মান করে চলেছেন বিভিন্ন স্থাপনা ও বহুতল ভবন।
দখল করেই বসে থাকেননি দখলবাজরা, বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানী ঝুলিয়ে দিয়েছে তাদের সাইনবোর্ড।
তবে, অবৈধ দখলবাজদের উচ্ছেদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে বিআইডাব্লটিএর চেয়ারম্যান।
তিনি জানান, যেসব অবৈধ স্থাপনা এখনও উচ্ছেদের বাকি আছে, তা শিগগিরিই উচ্ছেদ করা হবে।