ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

‘এক ছাতার নিচে আসবে ঢাকার গণপরিবহন’    

প্রকাশিত : ০৮:০২ পিএম, ৯ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার

রাজধানীর ‘বিশৃঙ্খল’ গণপরিবহন ব্যবস্থা যেন একটি এক ছাতার নিচে বা একটি কোম্পানিতে আনা যায়, সেজন্য শিগগিরই ডিএসসিসির পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। সোমবার নগর ভবনে বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রধানদের সাথে সমন্বয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।   

ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলালের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন রাউজকের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মশিউর রহমান, ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ানসহ বিভিন্ন সেবাসংস্থার প্রতিনিধিরা।   

মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, গণপরিবহন ব্যবস্থাকে এক ছাতার নিচে আনা জরুরি হয়ে পড়েছে। যদিও এটা সময় সাপেক্ষ তারপরেও এ কাজটা শুরু করতে চাই। আসন্ন পহেলা বৈশাখের পরই এ বিষয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠক ডাকা হবে। এ কাজের সাথে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনসহ অন্য সংস্থার সাথে একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

ফুটপাতগুলো আবারও হকারদের দখলে চলে গেছে, এগুলো উদ্ধার করা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে গত ঈদের সময় তাদের বসতে দেওয়া হয়েছিল। তাদের আবারো উচ্ছেদ করা হবে।

তিনি বলেন, হকার এখন গুলিস্তান বা নিউ মার্কেট এলাকায়ই সীমাবদ্ধ নয়। তারা পুরো শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নাগরিকদের প্রচণ্ড দুর্ভোগে ফেলছে। আর নাগরিক দুর্ভোগ কমানো সিটি করপোরেশনের প্রধান কর্তব্য।

মেয়র বলেন, একইসাথে হকারদের জীবন-জীবিকা যেন ঠিক থাকে সেটাও দেখতে হবে। আমরা তাদের সময় নির্দিষ্ট করে দিতে চাই যেন তারা ওই সময় ফুটপাতে বসতে পারে।

ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বলেন, ঢাকার জলাধারগুলো ভরাট, খাল দখল এবং শহরের উন্মুক্ত জায়গা কমে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি এখন সরতে পারে না। এই তিনটা সমস্যার সমাধান করতে হবে। নাহলে জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে না।  

রাজউক চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, আমরা একটি সার্ভে করছি ঢাকা শহরের প্রত্যেক বাড়ির মালিকের বাড়ির অনুমোদন কত তলা, তার মধ্যে কত তলা করেছেন। আগামী এক মাসের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে। এছাড়া আগামী আগস্টের মধ্যেই সমস্ত ঢাকা শহরের মাটি পরীক্ষা করা হবে। এতে করে কোথায় কত তলা ভবন নির্মাণ করা হবে এ সংক্রান্ত একটি ধারণা চলে আসবে। 

তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মশিউর রহমান বলেন, আমাদের সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের কাজ ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। ৩০ এপ্রিল সিএনজি আমাদের গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। এর ফলে মে মাস থেকে গ্যাসের কোনো সমস্যা থাকবে না। তখন গ্যাসের চাপটাও বাড়বে।    

আর/এসি