ঢাকা, রবিবার   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ১৪ ১৪৩১

ময়মনসিংহের মন্ডার কদর ২শ বছরেও কমেনি, দিন দিন বাড়ছে চাহিদা

প্রকাশিত : ০১:১০ পিএম, ২৮ মে ২০১৬ শনিবার | আপডেট: ০১:১০ পিএম, ২৮ মে ২০১৬ শনিবার

প্রায় দু’শ বছরের পুরোনো ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার ঐতিহ্যবাহী মন্ডার কদর এখনও কমেনি। পাঁচ পুরুষ ধরে মন্ডার সু-খ্যাতি ধরে রেখেছেন কারিগরেরা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা এই মন্ডা খেয়ে প্রশংসা করেছেন। দিন দিন এখানকার মন্ডার চাহিদা বেড়েই চলেছে। মুক্তাগাছার মণ্ডার নাম শোনেননি ভোজনরসিকদের মাঝে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। মণ্ডা নিয়ে একটি কিংবদন্তি রয়েছে। দুই শতাধিক বছর আগে প্রসিদ্ধ মন্ডার জনক গোপাল পাল এক রাতে স্বপ্নাদিষ্ট হলেন। শিয়রে দাঁড়িয়ে এক ঋষি তাকে আদেশ দিচ্ছেন মন্ডা মিষ্টি তৈরি করো। পরদিন গোপাল ঋষির আদেশে চুল্লি খনন শুরু করলেন। হঠাৎ উদয় হলেন সাধু। তিনি হাত বুলিয়ে দিলেন চুল্লিতে। শিখিয়ে দিলেন মণ্ডা তৈরির কলাকৌশল গোপালকে। দুধ ও চিনি দিয়ে তৈরি হলো মন্ডা। গোপাল তার নতুন উদ্ভাবিত মন্ডা পরিবেশন করলেন তৎকালীন মুক্তাগাছার জমিদার মহারাজা সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরীর রাজদরবারে। মন্ডা খেয়ে মহারাজা পেলেন পরম তৃপ্তি, আর বাহবা দিলেন গোপালকে। শুরু হলো মণ্ডার যাত্রা। জানা গেছে, বাংলা ১২০৬ সালে তৎকালীন ভারতবর্ষের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন গোপাল। নবাব সিরাজদৌলার মৃত্যুর পর গোপাল মাতৃভূমি রাজশাহীতে চলে আসেন। পরে বাংলা ১২৩০ সালে তিনি মুক্তাগাছায় বসত গড়েন। প্রথম মণ্ডা তৈরি হয় বাংলা ১২৩১ সালে। এখানকার সামাজিক অনুষ্ঠানে মন্ডা ছাড়া চলেই না। তাছাড়া, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধানও এ মন্ডা খেয়ে প্রশংসা করেছেন। দেশের কোথাও গোপাল পালের মন্ডার দোকানের কোন শাখা নেই। তাই মন্ডার স্বাদ পেতে হলে মুক্তাগাছাতেই ছুটে যেতে হবে।