ঢাকা, রবিবার   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ১৪ ১৪৩১

বাংলাদেশের মতোই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান হ্যাক করেছিল একই হ্যাকারা

প্রকাশিত : ০৪:৫৮ পিএম, ২৮ মে ২০১৬ শনিবার | আপডেট: ০৪:৫৮ পিএম, ২৮ মে ২০১৬ শনিবার

বাংলাদেশের মতোই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান হ্যাক করেছিল একই হ্যাকারা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ‘সিমেনটেকে’র তদন্তে বেরিয়ে এসেছে এ তথ্য। তবে কত অর্থ চুরি হয়েছিল, তা জানায়নি সংস্থাটি। তাদের সন্দেহের তীর উত্তর কোরিয়ার হ্যাকার গ্র“পের দিকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির পর একে একে বেরিয়ে আসছে বিশ্বজুড়ে হ্যাকিংয়ের আলোচিত সব ঘটনা। এবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা সিমেনটেকের তদন্তে বের হয়ে এলো নতুন তথ্য। বাংলাদেশ ব্যাংকে হ্যাকিংয়ে জড়িতরা কেবলমাত্র বাংলাদেশই নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে হ্যাক করে। রয়টার্সকে সিমেনটেক জানিয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানে হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রেও একই ম্যালওয়ার ব্যবহার করা হয়। তবে কোনো আর্থিক সংস্থার নাম প্রকাশ করেনি তারা। এমনকি কত অর্থ চুরি হয়েছে, তাও নিশ্চিত করেনি। এদিকে, হ্যাকার সনাক্ত করতে তদন্ত চলছে জোরেসোরে। তবে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা বিএই ও সিমেনটেকের অভিযোগের তীর উত্তর কোরিয়ার ল্যাজারাস নামে হ্যাকার গ্র“পের দিকেই। সন্দেহের তালিকায় রয়েছে আন্তজার্তিক আর্থিক লেনদেনে নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা-সুইফটের নিরাপত্তার বিয়ষটিও। তবে এনিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইনসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আর্থিক সংস্থাগুলো। ২০১৪ সালে সনির হলিউড স্টুডিও, ভিয়েতনাম ও ইকুয়েডরের ব্যাংকে হ্যাকিংয়ের ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘটনার বড় ধরণের মিল রয়েছে বলে মনে করছে বিএই ও সিমেনটেক।