বাণিজ্যিকভাবে সফল ময়ূর চাষ
প্রকাশিত : ০২:৪৫ পিএম, ২৮ মে ২০১৬ শনিবার | আপডেট: ০২:৪৫ পিএম, ২৮ মে ২০১৬ শনিবার
পেখম তোলা ময়ূর দেখতে কার না ভালো লাগে ! শুধু কবি-সাহিত্যিক নন, ময়ূরের রূপে বিমোহিত হতে হয় সবাইকে। তাইতো বনের ময়ূর কখনো-সখনো মানুষের কাছাকাছি থাকে, পরম যত্মআত্তিতে। এদেশে বাণিজ্যিকভাবেও চাষ হচ্ছে এই পাখির। আছে অনেক সম্ভাবনাও।
মেঘ গুঢ় গুঢ় মেঘলা দিনে ময়ূর ডাকে কেকা, কাব্যগুনে এই ডাক সমৃদ্ধ হলেও, মর্জি হলে, যেখানে সেখানেই ময়ূর ডাকতে পারে। আর তখন ডানা মেলে নৃত্য শুরু করলে, চোখ ফেরানো দায়।
ময়ূরের যাপিত জীবন নিয়ে ভ্রান্ত ধারনার শেষ নেই। অনেকেই হয়তো জানেনই না যে, শুধু ময়ূরীকে আকর্ষণ করতেই এই পেখম মেলা।
দুঃখ জনক হলেও সত্য, দেশে ময়ূর এখন বিলুপ্তির পথে। বন উজারের পাশাপাশি পরিবেশগত প্রতিকূল অবস্থাকেই এজন্য দায়ী করা হয়ে থাকে।
বনের ময়ূর কবে থেকে মানুষের খাঁচায় বন্দি হলো, তা বলা মুশকিল হলেও, জাতীয় চিড়িয়াখানায় বহু আগে থেকেই এদের আশ্রয় হয়েছে। আশার কথা হলো, বাংলাদেশের পরিবেশও ময়ূর চাষের খুবই উপযোগী। সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছেন রাজধানীর কিছু উদ্যোমী তরুন।
তাদের সংগ্রহে আছে, হার্লে কুইন, ব্ল্যাক সোল্ডার, গ্রীন জাভা আর ব্লু পিককের মত বিপন্ন প্রজাতির ময়ূর। তারা বলছেন, বেকারত্ব দূর করতে ময়ূর চাষ হতে পারে, আশার আলো।
জাতীয় চিড়িয়াখানার প্রধান কিউরেটরও শোনালেন একই সম্ভাবনার কথা।
সংশয় নেই, তেমনটা হলে, পোল্ট্রি ও ডেইরি শিল্পের মতই এই ময়ূর চাষ খুলে দিতে পারে সম্ভাবনার নতুন বাতায়ন।