রাবিতে দুপুরে স্থগিত সন্ধ্যায় বিক্ষোভ
প্রকাশিত : ১১:২৮ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ১২:৫৫ এএম, ১১ এপ্রিল ২০১৮ বুধবার
সরকারের শীর্ষনেতার সাথে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের পর আগামী ৭ই মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত ঘোষণার দেওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে ফের আন্দোলন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষনা দেয় ছাত্র অধিকার সংরক্ষন পরিষদ আন্দোলন রাবি শাখা। কিন্তুসন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে আবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন তারা।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হন। এরপর সেখান থেকে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। তারপর সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।
জানা যায়, কয়েকটি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আবারও আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো-দেশের ৯৮ শতাংশ সাধারণ শিক্ষার্থীকে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরি রাজাকারের বাচ্চা বলেছেন, এর জন্য মতিয়া চৌধুরিকে শিক্ষর্থীদের নিকট ক্ষমা চাওয়া, বাজেটের পর কোটা সংস্কার করা হবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের এই বক্তব্যকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে তা দ্রুত প্রত্যাহার, ঢাকায় আটককৃত শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়া, পুলিশের নির্যাতনে আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব সরকারকে নেওয়া।
সমাবেশে ছাত্র অধিকার সংরক্ষন পরিষদ আন্দোলন রাবি শাখার আহ্বায়ক মাসুদ মুন্নাফ বলেন, ‘মতিয়া চৌধুরি আমাদের রাজাকারের বাচ্চা বলেছেন। অর্থমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা গতকালের আলোচনার সাংঘর্ষিক। আমরা বুঝতে পেরেছি আমাদের অধিকার আন্দোলনের মাধ্যমে আদায় করে নিতে হবে। কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী আগামীকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করা হবে।’
কোটা সংস্কার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, ‘দেশের বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের প্রয়োজন। এখানে মেধাবীরা অবহেলিত। তবে সংস্কারের সময় এটা মাথায় রাখতে হবে যেন মুক্তিযোদ্ধার
পরিবাররা নিগৃহীত না হয়। পাশাপাশি এটাও মাথায় রাখতে হবে এতে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী চক্র যেন সুবিধা না নিতে পারে।’