কোটা সংস্কার
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পেলেই প্রজ্ঞাপন
প্রকাশিত : ০৩:৪৪ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৩:৪৫ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০১৮ বৃহস্পতিবার
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের বিষয়ে প্রজ্ঞাপনসহ অন্যান্য বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষায় আছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পেলেই প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোজাম্মেল হক খান সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
প্রজ্ঞাপন কবে নাগাদ হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ‘যথাসময়েই হবে।’
সব চাকরির ক্ষেত্রেই কোটা বাতিল হবে কি না—এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘সুস্পষ্ট নির্দেশনা পেলেই এই বিষয়ে বলা যাবে।’ প্রজ্ঞাপনের সময়ই এসব বিষয়ে উল্লেখ থাকবে বলে জানান তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম কোটা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়ে জানান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি হবে। সেই প্রজ্ঞাপনে কী থাকবে, প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বিষয়টি কীভাবে থাকবে সেটি জানা যাবে এ সংক্রান্ত কমিটি গঠিত হওয়ার পর তারা যেভাবে বলবেন তার ওপর। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শফিউল বলেন, এই কমিটির দায়িত্ব কী হবে তা কার্যপরিধিতে উল্লেখ থাকবে। তিনি বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করার পর আমরা কাজ শুরু করব।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষিত কোটার পরিমাণ ৫৬ শতাংশ। বাকি ৪৪ শতাংশ নেওয়া হয় মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে। এ নিয়মের সংস্কার করে কোটার পরিমাণ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে গত রোববার থেকে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে আসছিল শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। এ আন্দোলনের মুখে বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার ইস্যুতে প্রথমবারের মতো সরাসরি কথা বলেন। সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে বলেন, ‘কোটা পদ্ধতিই বাতিল।’ এরপর আজ কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন করা সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দেন।
একে// এআর