কোটা সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ রাখা যেতে পারে: ড. মীজানুর রহমান
প্রকাশিত : ০৬:২৪ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৭:০৮ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৮ মঙ্গলবার
একাডেমিক শিক্ষার সর্বোচ্চ সনদ নিয়েও বছরের পর বছর পার করে দিচ্ছে দেশের অসংখ্য শিক্ষার্থী, চাকরি মিলছে না। স্নাতকোত্তর পাশের পর ৩ থেকে ৪ বছর আবার চাকরির জন্য আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। সর্বোচ্চ সনদ নিয়ে করতে হচ্ছে কোচিংও। তাতেও অনেকের চাকরি মিলছে না। আবার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কোটার মারপ্যাঁচে ধুঁকছে মেধাবীরা। কোটা সুবিধা নিয়ে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরা ক্ষেত্রবিশেষে মেধাহীনরাও চাকরি পেয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে জোরালো হয়ে উঠছে কোটার সংস্কার ও চাকরির বয়স ৩৫ বছর করার দাবি।
অন্যদিকে পাবলিক পরীক্ষা থেকে শুরু করে চাকরি পরীক্ষা সর্বত্র দেদারসে চলছে প্রশ্নফাঁস। এতে লেখাপড়া না করেও ফাঁকফোকরে সনদ পেয়ে যাচ্ছে মেধাহীনরা। তাহলে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার গলদটা কোথায়? এর সুলোক সন্ধানে একুশে টেলিভিশন অনলাইন মুখোমুখি হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এর। একুশে টেলিভিশন (ইটিভি) অনলাইনকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, কোটা সর্বোচ্চ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের দেওয়া যেতে পারে। কোনোক্রমেই মুক্তিযোদ্ধার নাতিদের কোটার আওতায় আনার আমি পক্ষপাতি না। আর নারী ও উপজাতি বা জেলা পর্যায়ের কোটায়ও কিছু সংস্কার আনতে হবে। কোটা সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ হতে পারে। চাকরির ৭৫ শতাংশ মেধাবীদের জন্য উম্মুক্ত রাখতে হবে। আর ২৫ শতাংশ অন্যদের জন্য কোটা হিসেবে রাখা যেতে পারে।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন একুশে টেলিভিশন অনলাইন প্রতিবেদক রিজাউল করিম। দুই পর্বের সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব তুলে ধরা হলো-
একুশে টেলিভিশন অনলাইন: বিসিএসসহ বিভিন্ন সরকারিতে চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে ছাত্ররা আন্দোলন করছে। তাদের যুক্তি নিয়োগের ৫৬ ভাগ চলে যাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন কোটার দখলে। যার কারণে মেধাবীরা চাকরি থেকে বঞ্ছিত হচ্ছে। কোটা সংস্কারের মাধ্যমে এ বৈষম্য দূর করা হোক। আপনি তাদের দাবি কতটা যৌক্তিক মনে করেন?
মীজানুর রহমান: কোটা সংস্কার আরো আগেই করা উচিত ছিল। কোটা কোনো সময় চিরস্থায়ীভাবে হয় না। এ বাংলাদেশেও ১৯৭২ সালের পর থেকে তিনবার সংস্কার করা হয়েছে। সত্যি কথা বলতে কোটা আসলে কাগজে কলমে আছে। বাস্তবে এটার কোন প্রয়োগ নাই। যেমন ৩০ শতাংশ করা হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা কোটা কোন সময় ৭ থেকে ৮ শতাংশের বেশি পূর্ণ হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা কোটা খালি থাকছে। আর সে খালি জায়গা মেধা তালিকা থেকেই পূর্ণ হচ্ছে। প্রায় সবগুলো বিসিএসে কোটা খালি থাকায় মেধা তালিকা থেকে আসে। সেক্ষেত্রে এখনও দেখা যাচ্ছে প্রায় ৭৫ থেকে ৭৬ ভাগ মেধা তালিকা থেকে আসছে। এই বাস্তবতা যেখানে দেখা যাচ্ছে। সেখানে স্পষ্ট ঘোষণা দিলেই পারতো। কারণ গত ৫ থেকে ৭ বছরে মুক্তিযোদ্ধারা যে হারে কোটা ব্যবহার করছে তার কাছাকাছি পরিমান কোটা তাদের জন্য রাখলেই যথেষ্ট হতো।
এখনও নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাতালিকায় ৭০ শতাংশের উপরে থাকছে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার কোটার নামে একটা প্রচলিত ধারণা দিয়ে রাখা হয়েছে যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধারা নিয়ে যাচ্ছে। আসলে মুক্তিযোদ্ধারা কখনও কোনোদিনই ৩০ শতাংশ নিতে পারেনি। কোনো কোনো বছর গেছে শতকরা একভাগও মুক্তিযোদ্ধা কোটা পূরণ হয়নি।
তাই একটা সাধারণ প্রজ্ঞাপন আসতে পারতো যে বিদ্যমান কোটা যতদিন পর্যন্ত সংস্কার না হয়, ততদিন পর্যন্ত কোটার শূণ্য জায়গা মেধাতালিকা থেকে নেওয়া হবে। সেটা না করে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় জটিল একটি প্রজ্ঞাপন দিয়েছে যেটা বুঝতেই অনেক কঠিন। এটা তে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
আমাদের আর যে কোটা সেগুলোর মধ্যে আছে জেলা ও নারী কোটা। নারী কোটার মধ্যে অসুবিধা যেটা সেটা হচ্ছে যে নারীদের মধ্যে অনেকেই ঢাকা শহরে বড় হয়েছে। ঢাকা শহরের গুলশান–বনানীতে থাকে। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ছে, ভিকারুন্নেছায় পড়ছে। সে নারী কোটায় চাকরি নিতে চাচ্ছে। এখন কথা হলো যে নারী ঢাকা শহরের গুলশান-বনানীর মতো ব্যয়বহুল এলাকায় থাকতে পারে, নামী-দামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করতে পারে, সেতো পশ্চাদপদ হতে পারে না।
আবার জেলা কোটার কথা বলি। যদিও এখনও অনেক প্রত্যন্ত জেলা আছে যেখানে কোটা দরকার। চরাঞ্চল ও হাওরাঞ্চলে এখনও কোটা রাখা দরকার। কিন্তু শর্ত থাকতে হবে যে প্রার্থীকে অবশ্যই অবহেলিত অঞ্চলে লেখা-পড়াসহ ওইখানে বসবাসকারী হতে হবে। সেক্ষেত্রে কোনো জেলা সদরের জন্য এ কোটা রাখা যাবে না। অবহেলিত উপজেলার জন্য এগুলো রাখতে হবে। যেমন একজনের বাড়ি কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত উপজেলায়। কিন্তু সে বসবাস করে ঢাকার একটি অভিজাত এলাকায়। অর্থনৈতিকভাবে স্বাভলম্বী ওই প্রার্থী লেখা-পড়াও করেছেন ব্যয়বহুল কোনো খ্যাতিনামা প্রতিষ্ঠানে। যে ব্যক্তি এতো ব্যয়বহুল জীবনযাপন করলো সে কেন কোটার সুযোগ পাবে। সে ঢাকায় বসবাস করে কুড়িগ্রামের স্থায়ী ঠিকানা দিয়ে তো চাকরি নিতে পারে না। এতে সংবিধানের ২৯ এর ৩ এর ক ধারায় যে পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠির জন্য কোটা রাখা হয়েছে। সেটার সঠিক ব্যবহার হয় না। কারণ তারা পশ্চাতপদ থাকলে ঢাকায় বসবাস করতে পারে না।
বাংলাদেশের এখনও ৩০ থেকে ৩৫টি উপজেলা আছে। যেখানে শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই নগন্য। সেখানেই এ কোটা রাখা দরকার। বাকিগুলো না থাকাই ভালো।
যেমন উপজাতির ক্ষেত্রে বলি আমাদের সচিব আছে উপজাতি, আমাদের পুলিশ কমিশনার আছে উপজাতি। এখন তার ছেলে-মেয়ে কি উপজাতি কোটায় চাকরি পেতে পারে? তাই ইমোশনাল কারণে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, যেটা কোনোদিনই পূরণ হচ্ছে না। সেটা রেখে লাভটা কী? আপনি মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা অন্যদের দিয়ে পূরণ করছেনও বটে। শুধু শুধু কেন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এটা রাখা হচ্ছে। তিনটা সচিব পর্যায়ের মিটিংয়ে তো সচিব বলেই ফেললেন আমাদের কোটা পূরণ হচ্ছে না। তবে এটা খামাকা রাখার দরকার কী। কোটার যতটুকু প্রয়োগ হচ্ছে তা কোনোভাবেই ৮ ভাগের বেশি না। তবে কেন এটা রাখতে হবে।
একুশে টেলিভিশন অনলাইন: কোটার সংস্কার আসলে কেমন হতে পারে?
মীজানুর রহমান: বাস্তবতার নিরিখে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ১০ শতাংশে নিয়ে আসেন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পর্যন্ত কোটা নিয়ে আসেন। কোটা কোনোক্রমেই মুক্তিযোদ্ধার নাতি পর্যন্ত আমি পক্ষপাতি না। আর নারী ও উপজাতি বা জেলা পর্যায়ের কোটায়ও কিছু সংস্কার আনতে হবে। কোটা সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ হতে পারে। চাকরি ৭৫ ও ২৫ শে ভাগ করা উচিত। অর্থাৎ ৭৫ শতাংশ মেধাবীদের জন্য উম্মুক্ত রাখতে হবে। আর ২৫ শতাংশ অন্যদের জন্য কোটা হিসেবে রাখতে হবে।
একুশে টেলিভিশন অনলাইন: সংস্কারের ক্ষেত্রে সরকার এ মুহুর্তে কী করা উচিত বলে আপনি মনে করেন?
মীজানুর রহমান: আজ ছাত্র সমাজের যে দাবি এটা নিয়ে আমি বহুবার পত্রপত্রিকায় লিখেছি। টকশোতে কথা বলেছি। এ সংস্কার অনেক আগেই করা উচিত ছিল। ছাত্রদের যুক্তিসংগত আন্দোলন আমরা দেখতে পাচ্ছি দিনদিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। ছাত্র- শিক্ষক সবাই এটাকে সমর্থন করছে।
আমি আশা করবো কোটা সংস্কারে ছোট্ট একটা কমিটি করার। এ বিষয়ে আমার প্রস্তাব হলো সাবেক ক্যাবিনেট সচিব, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি, ছাত্রদের দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল কোন শিক্ষক, যেমন প্রফেসর আনিসুজ্জামান ও জাফর ইকবালের মতো কয়েকজনকে নিয়ে একটি কমিটি করে এটার সংস্কার করা। কমিটির জন্য দুই থেকে তিন সপ্তাহের সময় বেঁধে দেওয়া।
একুশে টেলিভিশন অনলাইন: ছাত্রদের এ আন্দোলনের মধ্যেই ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনে হামলা হয়েছে। বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
মীজানুর রহমান: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা এটা খুবই দু:খজনক। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে পৃথিবীর বিভিন্ন জাতি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করছে। যেমন ব্রিটিশরা ক্যামব্রিজ করছে, অক্সফোর্ড করছে। আমেরিকানরা এমআইটি হার্ভার্ড করছে। কিন্তু পৃথিবীর একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেটা একটা জাতিকে তৈরি করছে। এটা আমাদের গর্ব, আমাদের স্ট্যাটাস। সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার উপচার্য বাসভবনের দ্বোতলায় গিয়ে একান্ত পারিবারিক জীবন যেখানে সেখানে গিয়ে হামলা এটা ন্যাক্কারজনক। এটার মতো গর্হিত কাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একশ’ বছরের ইতিহাসে ঘটেনি। একজন উপচার্য যেই হোন তিনি একজন উপচার্য। তাকে হামলার কথা ভাবাই যায় না।
আমি মনে করি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুযোগ নিয়েছে একটি গ্রুপ। কেন না আন্দোলন যখন দেরিতে হয়, তখন বিভিন্ন দিক থেকে বিভিন্ন সুবিধাবাদি গোষ্ঠী তার মধ্যে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে। সুযোগ সন্ধানী ও উদ্দেশ্যপ্রবণ গোষ্ঠী এখানে মাথা ঢোকায়। এটার সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত আইন-শৃংখলা রক্ষাকারীবাহিনীর উচিত হবে তা খুঁজে বের করা এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া। এটাকে কোনোভাবেই ক্ষমা করা যাবে না।
একুশে টেলিভিশন অনলাইন: কোটার বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক মাসের সময়ের কথা বলেছিলেন। তারপরও ছাত্রদের আন্দোলন অব্যাহত রাখা কতটা যৌক্তিক ছিল?
মীজানুর রহমান: কোটা নিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য যে এক মাসের সময়ের কথা বলেছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তা ওই পর্যন্ত ঠিক ছিল, যতক্ষণ ওই বিষয়ে অন্য কোনো মন্ত্রী কোনো কথা না বলেছিলেন। কিন্তু যখন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাট আরোপসহ মতিয়া আপা ও হাসানুল হক ইনুর কথা গণমাধ্যমে আসলো তখন ছাত্ররা ওবায়দুল কাদেরের কথায় আস্থা হারিয়ে ফেললো। তাই বিষয়টি মন্ত্রীদের ছাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে চলে গেছে। এ বিষয়ে এখন ছোট্ট একটি কমিটি গঠন করে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে কার্যকরী পদক্ষেপের উপর জোর দেওয়া উচিত।
একুশে টেলিভিশন অনলাইন: কোটা সংস্কারের পাশাপাশি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিও উঠে আসছে চাকরি প্রত্যাশী ছাত্রদের থেকে। তাদের এ দাবি কতটা যৌক্তিক?
মীজানুর রহমান: চাকরির বয়স ৩৫ বছর নয়, আরো বাড়িয়ে দিলেও যারা চাকরি পায়নি, তারা চাকরি পাবে না। কারণ এদের সর্বোচ্চ বয়স ৩৫ বছর। আর যারা নতুন চাকরির জন্য আবেদন করবে তাদের সর্বোচ্চ বয়স ২৫ বছর। বয়সের ১০ বছরের পার্থক্য। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন সেশন জট নেই বললেই চলে। যারা চাকরি ৩০ বছরেও পায়নি তারা আর চাকরি পাবে না। কারণ তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে অপেক্ষাকৃত তরুণদের সঙ্গে। যারা প্রযুক্তিগত জ্ঞানের পাশাপাশি মেধা ও দক্ষতায় এগিয়ে। বয়স বাড়ালে চাকরিতে প্রার্থীর সংখ্যা যেখানে তিন থেকে চার লাখ হয়, সেখানে প্রার্থীর সংখ্যা আরও বেড়ে ৮ লাখে ঠেকবে। কাজের কাজ কিছুই হবে না। তাই এটা না করে দেশে বিনিয়োগই বাড়ানো দরকার। আর যারা এ দাবি করছে তাদের উচিত হবে এটা না করে কী তারা করতে পারে সেদিকে নজর দেওয়া এবং নিজেরদের কী যোগ্যতা দরকার সেগুলো অর্জন করা।
একুশে টিভি অনলাইন : আমাদের সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মীজানুর রহমান : একুশে পরিবারের প্রতি শুভেচ্ছা।
/এআর/