ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৯ ১৪৩১

ধর্ষণ প্রমাণে ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধে রায়

প্রকাশিত : ০৭:১২ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০১৮ বৃহস্পতিবার

ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুর শারীরিক পরীক্ষার তথাকথিত ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ ও ‘বায়ো ম্যানুয়াল টেস্ট’ নিষিদ্ধ করেছেন হাই কোর্ট। এই পরীক্ষাকে অযৌক্তিক আখ্যায়িত করে পাঁচ বছর আগের এক রিট আবেদনের নিষ্পত্তি করে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি একেএম সহিদুল হক বৃহস্পতিবার এই রায় দেন।

ওই দুই  পরীক্ষা পদ্ধতিকে নিষিদ্ধ করে আদালত বলেছে, ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুদের পরীক্ষা করার সময় একজন গাইনোকলজিস্ট, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, নারী পুলিশ কর্মকর্তা এবং প্রয়োজনে ভিকটিমের একজন নিকট আত্মীয়কে সেখানে রাখতে হবে।

আদালত আদেশে বলা হয়েছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যনালকে নিশ্চিত করতে হবে যে কোনো পক্ষের আইনজীবী যেন ভিকটিমকে মর্যাদাহানীকর কোনো প্রশ্ন না করে।

আদালত বলেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্য বিধি অনুযায়ী গত বছর বাংলাদেশ সরকার যে হেলথ প্রটোকল করেছে, রেপ ভিকটিমদের পরীক্ষা ও ভার্জিনিট টেস্ট করতে হবে সেই বিধি মেনে।

গতবছর করা সরকারের ওই প্রটোকল দেশের সব নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এবং হাসপাতালে পাঠিয়ে তা অনুসরণ করতে বলেছে হাই কোর্ট।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ,মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), ব্র্যাক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, নারীপক্ষ এবং দুই চিকিৎসক দুই আঙুলের মাধ্যমে ধর্ষণ পরীক্ষার পদ্ধতিকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৩ সালে হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।

তাদের আবেদনে ওই পরীক্ষাকে সংবিধানের ২৭, ২৮, ৩১, ৩২ ও ৩৫(৫) ও সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ ধারার পরিপন্থি দাবি করা হয় ।এ বিষয়ে শুনানি করে রুল দেয় হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ। ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।

ওই পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানিয়ে অধিকারকর্মীরা বলে আসছিলেন, দুই আঙ্গুলের ‘অযৌক্তিক’ ওই পরীক্ষা ভিকটিমকে আবার ধর্ষণ করার শামিল।

এমএইচ/ এআর