ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতার ঘটনায় চার মামলা

প্রকাশিত : ০৮:১৪ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০১৮ বৃহস্পতিবার

কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ এবং উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনে হামলা, ভাঙচুরসহ পুলিশের ওয়াকিটকি ছিনতাইয়ের ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় চারটি মামলা হয়েছে। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার গণমাধ্যমকে জানান, উপাচার্যের বাসায় হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। এছাড়া পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পক্ষ থেকে একটি মামলাসহ মোট চারটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় মোট কয়জনকে আসামি করা হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চার মামলা নথি ভুক্তির তারিখ ১০ এপ্রিল উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বলেন, উপাচার্য ভবনে হামলার ঘটনায় ঢাবির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এছাড়া পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) এক সদস্যের মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনায় একটি এবং ওয়াকিটকি ছিনতাই ও ভাংচুরের ঘটনায় পুলিশ বাদী আরো দুইটি মামলা করেছে।

কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা রোববার রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করলে রাতে পুলিশ তাদের রাবার বুলেট-কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে সরিয়ে দেয়। কিন্তু এরপর বিক্ষোভ আর সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়।

ওই দিন রাতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে আন্দোলনকারীদের। এরই মধ্যে রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা চালিয়ে ভ্যাপক ভাঙচুর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, হামলার সময় পাঁচ শতাধিক তরুণ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারা গেইট ভেঙে ভেতরে ঢোকে। হামলাকারী অনেকেরই মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। বাসভবনের ঘরে ঢুকে জানালার কাচসহ প্রায় প্রতিটি আসবাবপত্র তারা ভেঙে ফেলে। এমনকি বাথরুম ও রান্নাঘরও তছনছ করে। ভবনের সিসি ক্যামেরাগুলোও ভেঙে ফেলা হয়।

উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান ঘটনার পরেরদিন গণমাধ্যমকে বলেন, আমার বাসায় যারা এসেছিল তারা মুখোশ পরা ছিল। তার প্রাণনাশের জন্য এসেছিল।

অন্যদিকে আন্দোলনকারীরা বলেন, ওই হামলা চালিয়েছে ‘বহিরাগত সন্ত্রাসীরা’। হামলার সঙ্গে আন্দোলনকারীদের কোনো সম্পর্ক নেই।

 

আর