বৈশাখের রঙ্গে রাঙ্গায়িত চেরি ব্লুসমস স্কুল
প্রকাশিত : ১০:৩০ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:২৪ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০১৮ বৃহস্পতিবার
‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ অথবা নজরুলের ‘ঐ নতুনের কেতন ওড়ে কালবোশেখী ঝড়, তোরা সব জয়ধ্বনি কর’। বরাবরের মতোই কবিগুরুর সেই কালজয়ী গান `এসো হে বৈশাখ’ গানের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিল রাজধানীর মিরপুর চেরী ব্লসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার পল্লবী ২নং কমিউনিটি সেন্টারে সকাল নয়টায় বাংলা নতুন বছরকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেয় স্কুলটির শত শত শিক্ষার্থী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চেরি ব্লুচমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপাল ও চেয়ারম্যান ড. সালেহা কাদের।
অনুষ্ঠানে গ্রাম বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যের গান হাসন, লালন, বৈশাখের গান,বৃষ্টি বন্দনার গান,গ্রুফ ড্যান্স,দ্বৈত সংগীত, জারি- সারি,ভাটিয়ারী, লোকজ গানের পরিবেশনা করে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। সংগীতের মূর্ছনাতে আলোকিত হয়ে ওঠে বর্ষবরণের বর্ণিল এই আয়োজন।
স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে টানা ২৩ বছর ধরে উদযাপিত হচ্ছে নববর্ষের এই আয়োজন। অতীতের সকল জড়া-জীর্ণতাকে বিদায় জানালো চেরি ব্লুসমস স্কুলের কচি কাঁচার শিক্ষার্থীরা।
চেরী ব্লুসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল ড. সালেহা কাদের বলেন,"পহেলা বৈশাখ বাঙালির ঐতিহ্যগত উৎসব। স্কুলটি ইংলিশ ভার্সনে পরিচালিত হলেও আমরা আমাদের সন্তানদেরকে ইংরেজ বানাতে চাই না। অস্তিত্বের শেখরের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে বৈশাখের উৎসবের আয়োজন করি প্রতি বছর।
তিনি আরও জানান, শহুরে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের শিশুরা গ্রামের চিরায়ত সংস্কৃতির পরিচয় থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে। তাই তাঁদেরকে গ্রামের লোকজ সংস্কৃতি ও চিরায়ত সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই এই আয়োজন।
চেরী ব্লুসমস স্কুলের সিনিয়র শিক্ষিকা সাদিয়া খান কাশমি বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এ দিনটি আমাদের কাছে ভিন্নতা পাই, কারণ আপন আলয়ে ফেরার দিন এটি। আমাদের স্বকীয়তা বোধের দিন এটি। তাই শিক্ষার্থী,অভিভাবকদের সাথে আমরা একই সঙ্গে বর্ষবরণের সুবর্ণ সুযোগ পাই’।
বর্ষবরণ নিয়ে চেরি ব্লুসমস স্কুলের স্ট্যান্ডার্ড ওয়ানের ছাত্র শিক্ষার্থী আমরোজিয়া আফসিন পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে বলেন," প্রতি বছর এই দিনে এখানে আসতে আমাদের ভালো লাগে। আমরা পারফর্ম করতে পারি। এবছর আরো ভালো লেগেছে।"
অনুষ্ঠানে মনোরম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন স্টল অংশ নেয়। অনুষ্ঠানে আগত অভিভাবকরা বর্ষবরণের এই আয়োজনে স্বস্তি প্রকাশ করেন।
কেআই/