শ্যামল কান্তি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ৮ জুনের মধ্যে জমা দেয়ার নির্দেশ
প্রকাশিত : ০৪:০০ পিএম, ২৯ মে ২০১৬ রবিবার | আপডেট: ০৬:৫০ পিএম, ২৯ মে ২০১৬ রবিবার
শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া প্রতিবেদনকে দায়সারাগোছের উল্লেখ করে আগামী ৮ জুনের মধ্যে ফের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তাতে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা ‘সুনির্দিষ্ট ও বিস্তারিত’ভাবে জানাতে হবে। আর এতে ব্যর্থ হলে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
নারায়ণগঞ্জে শিক্ষক লাঞ্চনার ঘটনায় আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বন্দর থানার ওসির দেওয়া প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দেয়। এরপর জেলা কমিটির কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়। আর নারায়ণগঞ্জ পুলিশের প্রতিবেদনে ঘটনার দিন করা জিডি বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে আদালতকে জানানো হয়।
তবে প্রতিবেদন দেখে আদালত অসন্তেুষ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে আবারো প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গত ১৩ মে পিয়ার লতিফ হাইস্কুল প্রাঙ্গনে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তিভক্তকে লাঞ্ছিত করে করে কয়েকজন। পরে তাকে কান ধরিয়ে উঠ-বস করান স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।
ঐ ঘটনায় স্বপ্রনোদিত রুল জারির পাশাপাশি কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, জানতে চায় হাইকোর্ট। এরই প্রেক্ষিতে আদালতে প্রতিবেদনগুলো দাখিল করে নায়ায়ণগঞ্জের স্থানীয় প্রশাসন।