সিরিয়ায় হামলার পরিণতি হবে ভয়াবহ : পুতিন
প্রকাশিত : ০৪:১৫ পিএম, ১৪ এপ্রিল ২০১৮ শনিবার
সিরিয়ায় সরকারি স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের বিমান হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে রাশিয়া বলেছে, এ হামলার পরিণতি হবে ভয়াবহ। বাশার আল আসাদের ভূখণ্ডে তিনদেশ জোট হয়ে যে হামলা চালিয়েছে তাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলেও জানিয়েছে মস্কো।
প্রসঙ্গত, সিরিয়ার দুমায় রাসায়নিক হামলার জন্য বাশার বাহিনীকে দায়ী করে দেশটির সরকারনিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন স্থাপনায় সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার আদেশ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অপরদিকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পাশে আছে রাশিয়া। তারা দেশটিতে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের সাজানো বলে অভিযোগ করেছে। এখন সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক তলানিতে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনোভ এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদেরকে হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে। এ ধরনের হামলার জবাব না দিয়ে ছাড়বে না রাশিয়া। অবশ্যই তাদেরকে এ জন্য ভয়াবহ পরিণতি দেখতে হবে। হামলার ঘটনার জবাবে যে পরিণতি ঘটবে তার সব দায় নিতে হবে ওয়াশিংটন, লন্ডন এবং প্যারিসকে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। আগে থেকে ঠিক করে রাখা দৃশ্য মঞ্চায়ন করল যুক্তরাষ্ট্র। এ ধরনের ঘটনা এমনি এমনি ছেড়ে দেওয়া হবে না।
রাশিয়ার একটি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, ট্রাম্পকে নাৎসি নেতা অ্যাডলফ হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেছেন রাশিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তারা।
সিরিয়ায় সামরিক হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, নিষ্পাপ মানুষ, নারী ও শিশুদের গণহত্যাকারীদের সঙ্গে কোন দেশ যুক্ত থাকতে পারে?
মস্কো জানায়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে অপমান মেনে নেওয়ার মতো নয়। এ ঘটনায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক ডাকবে রাশিয়া।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, সিরিয়ার একটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। ওই স্থাপনায় রাসায়নিক অস্ত্রের মজুত ছিল। ৪টি টর্নেডো বিমান হোমস থেকে একটি সামরিক স্থাপনায় স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। সিরিয়া সরকার এটিকে রাসায়নিক অস্ত্র মজুতের গুদাম হিসেবে ব্যবহার করছে।
ইরানের পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক পরিণতি ভালো হবে না। যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা যা করেছে, তা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা সিরিয়ায় ১০০টির বেশি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী অনেকগুলো ঠেকিয়ে দিয়েছে। তবে রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী এতে যুক্ত ছিল না।
এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব এ ধরনের হামলা বন্ধ করতে আহবান জানান। এছাড়া মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলার ঘটনায় যাতে বেসামরিক মানুষের ক্ষতি না হয়, সেটি দেখতে হবে।
আর / এআর