‘পরিবেশ সুরক্ষায় ভূমিকা রাখবে প্লাস্টিক সামগ্রী’
প্রকাশিত : ০৪:৩৪ পিএম, ১৪ এপ্রিল ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৬:২৪ পিএম, ১৪ এপ্রিল ২০১৮ শনিবার
ড. এফ এইচ অানসারী
এসিঅাই লিমিটেড একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান। ইতোপূর্বে প্রতিষ্ঠানটি ফুডস, এগ্রো, মোটরস, ফার্মিসিউটিক্যালসসহ নানা অাঙ্গিকে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করে ঠাঁই করে নিয়েছে দেশের শীর্ষ স্থানীয় কোম্পানির তালিকায়। এবার এসিঅাই লিমিটেড বাজারে এনেছে প্লাস্টিক সামগ্রী। এসিঅাই প্রিমিও প্লাস্টিক- এর লোগো সম্বলিত ৩৫টি পণ্য ইতোমধ্যে বাজারে ছেড়েছে এসিঅাই লিমিটেড। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ এসিঅাই ভবনে এসিঅাই প্রিমিও প্লাস্টিকের লোগো উন্মোচন করা হয়।
এসিঅাই প্রিমিয়াফ্লেক্স প্লাস্টিকস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও ড. এফ এইচ অানসারীর মুখোমুখি হয় একুশে টেলিভিশন অনলাইন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন একুশে টেলিভিশন অনলাইনের প্রতিবেদক অালী অাদনান।
একুশে টেলিভিশন অনলাইন: অনেক ধরণের ব্যবসা থাকতে প্লাস্টিক নিয়ে এলেন কেন?
ড. এফ এইচ অানসারী: এসিঅাই লিমিটেড সব সময় দেশের মানুষের জীবন যাত্রা মানোন্নয়নের লক্ষে টেকনোলজির প্রয়োগে ব্যবসা করতে অাগ্রহী। জীবনযাত্রা নিয়ে কাজ করতে গেলে অামরা দেখি মধ্যবিত্তদের জীবন যাপনে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। অার্থিক স্বচ্ছলতার সঙ্গে সঙ্গে রুচি সম্মত ও ফ্যাশনেবল জীবন যাপনে অাগ্রহী হচ্ছে তারা। বিশেষ করে অামাদের তরুণ সমাজ খুব ভালো করছে। অামরা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও রুচি মাথায় রেখে গৃহস্থলী পণ্যের কথা ভেবেছি। তখনই অাসে প্লাস্টিক পণ্য সামগ্রীর কথা। অাধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগে টেকসই, গুণগত মান, ফ্যাশন ও বৈচিত্র্যময় ডিজাইনকে অামরা প্রাধান্য দিয়েছি।
একুশে টেলিভিশন অনলাইন: পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবসা কেমন সম্ভাবনাময়ী?
ড. এফ এইচ অানসারী: অামেরিকাতে বছরে প্লাস্টিক মাথা পিছু ব্যবহার করে পার ৬০ কেজি। অামাদের পাশের দেশ ভারতে ৯ কেজি। অার অামাদের এখানে মাত্র তিন কেজি। তাহলে কতো বড় ব্যবধান! অামরা যদি ৯ কেজিতে উন্নীত করি তাহলেও তিনগুণ ব্যবসা করা সম্ভব। সেই জায়গা থেকে অামরা বড় একটা চ্যালেঞ্জ হাতে নিলাম।
একুশে টেলিভিশন অনলাইন: প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনের জন্য যেসব কাঁচামাল দরকার তাতে কী অামরা অামদানি নির্ভর?
ড. এফ এইচ অানসারী: হ্যাঁ, অবশ্যই অামদানি নির্ভর। তবে কিছু কিছু হয়তো অামরা নিজেরা উৎপাদন শুরু করতে পারব। অামদানি করার সুবিধাটা হলো এই, এগুলো রিসাইকেল করে অাবার নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব।
একুশে টেলিভিশন অনলাইন: এসিঅাই প্রিমিও প্লাস্টিকের পণ্য রফতানি বাজারে কেমন স্থান নিবে বলে অাশা করছেন?
ড. এফ এইচ অানসারী: ভারতে প্লাস্টিক পণ্যের একটা বড় বাজার অাছে। মধ্যপ্রাচ্যেও একটা বড় বাজার অাছে। ইউরোপে ইতোমধ্যে একটা বড় বাজার তৈরি হয়েছে। অামরা অাগে অামাদের দেশীয় চাহিদা পূরণ করব। তারপর বিশ্বের বিভিন্ন বাজারে রফতানি করার উদ্যোগ নিব। যেহেতু অামাদের উৎপাদিত পণ্য টেকসই, গুণগত মান ভালো, দেখতে সুন্দর, সেহেতু অামরা সহজেই সবার দৃষ্টি অাকর্ষণ করতে পারব বলে বিশ্বাস করি।
একুশে টেলিভিশন অনলাইন: মানুষ কেন প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে উৎসাহী হবে?
ড. এফ এইচ অানসারী: অনেকে মনে করেন, প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। অাসলে তা না। বরং পরিবেশ সুরক্ষায় প্লাস্টিক ভূমিকা রাখে।
প্লাস্টিকের পণ্য উৎপাদিত হলে কাঠের চাহিদা কমবে। ফলে গাছ কাটতে হবে না। বন রক্ষা পাবে। পরিবেশ পাবে সুরক্ষা। কাঠের সামগ্রী ভেঙ্গে গেলে সেটা জ্বালানি করা ছাড়া বিকল্প উপায় থাকে না। কিন্তু প্লাস্টিক সামগ্রী ভেঙ্গে গেলে, নষ্ট হলে প্রক্রিয়াজাত করে পুণরায় প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন সম্ভব। এর ফলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে।
একুশে টেলিভিশন অনলাইন: ইতোপূর্বে এসিঅাই লিমিটেড বিভিন্ন বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বাজারে এসে চমক দেখিয়েছে। অল্প সময়ে পেয়েছে সফলতা। প্লাস্টিকেও কী একই ধারাবাহিকতা থাকবে?
ড. এফ এইচ অানসারী: অবশ্যই অামরা প্রথম হবো। এর অাগেও অামরা যখন যা নিয়ে এসেছি ক্রেতারা কখনো অামাদের হতাশ করেননি। অামরা হয়তো অনেকের পরে অাসি। কিন্তু ফলাফলে গিয়ে অামরা প্রথম হই। যতোগুলো সেক্টরে অামরা কাজ করেছি, ১০ বছরের ব্যবধানে প্রথম হয়ে গেছি। প্লাস্টিকের ক্ষেত্রেও অামরা প্রথম হবো। অামরা সেক্ষেত্রে পাঁচ বছরের টার্গেট হাতে নিয়েছি। অামরা সততা ও মূল্যবোধ নিয়ে কোনো অাপোষ করি না। অামাদের কর্মকর্তা, কর্মচারী, ডিলাররা সবাই কঠোর পরিশ্রমী।
একুশে টেলিভিশন অনলাইন: আপনাকে ধন্যবাদ।
ড. এফ এইচ অানসারী: একুশে টেলিভিশন পরিবারকে ধন্যবাদ।
এসএইচ/