প্রেমের প্রথম সাক্ষাতে যা বলবেন না
প্রকাশিত : ০৫:১৩ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৫:১৮ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০১৮ রবিবার
প্রেমের প্রথম সাক্ষাত! কিভাবে ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে কথা বলবে, কি ধরণের আচরণ তাঁর পছন্দ হবে, কোন ধরণের কথায় সে সুধা আহরণ করবে, তা ভাবতে ভাবতে স্নায়ুতে কাঁপন ধরেনি এমন প্রেমিক যুগল পাওয়া ভার। কথায় আছে, ‘পেহলা দর্শন ফের গুন বিচারি, অথবা ‘ফাস্ট ইমপ্রেশান ইজ দ্য বেস্ট ইমপ্রেশান‘।
প্রথম সাক্ষাতে পরষ্পর পরষ্পরকে তাক লাগিয়ে দিতে প্রথমেই যুগলরা নজর দেয় পোশাকের উপর। এরপর যে বিষয়টির উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, তা হলো সাক্ষাতে কি কথা বলবে, বর্তমান সম্পর্কে বলবে নাকি অতীত সম্পর্কে বলবে নাকি প্রথম সাক্ষাতেই ভবিষ্যতের কথা বলবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান অনেকে।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রথম সাক্ষাতে যদি পরষ্পর পরষ্পরের প্রতি ‘গ্রিন সিগনাল’ মনোভাব দেয়, তবে সে সম্পর্ক বেশিদিন টেকে। প্রথম সাক্ষাতে যে কথাগুলো একেবারেই বলা যাবে না তা হলো রাশভারী ও গুরুগম্ভীর কথা। যেমন, ‘আচ্ছা বলো তো, সম্পর্কের মধ্যে তুমি কি চাও? আগের সম্পর্কটা তুমি কেন ব্রেক আপ করেছো? কিংবা আচ্ছা বলো তো জীবনের অর্থ কি?’
ডেটিং প্রশিক্ষক জেমস প্রিস বলেন, প্রথম সাক্ষাতে যত বেশি কৌতুকপূর্ণ কথাবার্তা বলতে পারবে, প্রেম তত সুদৃঢ় হবে। এতে একজন অপরজনের প্রতি আরও বেশি আকৃষ্ট হবে। প্রথম সাক্ষাতের প্রশ্নগুলো যেমন সহজ-সাদামাঠা হবে, এর উত্তরও হতে হবে ইতিবাচক।
তিনি আরও বলেন, প্রথম সাক্ষাতে যতবেশি সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও ইতিবাচক কথা বলা হবে, বিপরীতজনও অপরজনের প্রতি সেই দৃষ্টিভঙ্গি লাভ করবে। তাই প্রশ্ন করুন, তাদের পরিবার সম্পর্কে, তার ছুটির দিন সম্পর্কে, তার পছন্দ-অপছন্দের বিষয়ে আর কোন বিষয়টি তাকে সবচেয়ে বেশি টানে। তাদের মধ্যে এমন বিষয় নিয়ে কথা হওয়া উচিত, যাতে দুজনেরই সমান আগ্রহ রয়েছে। এতে তাদের দুজনের চেহারায় উজ্জ্বল রেখা ফুটে ওঠবে।
শুধু বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলেই হবে না, বরং প্রিয়তমা অথবা প্রিয়তম কথা বলার সময় পূর্ণাঙ্গ মনোযোগ দিতে হবে। মনে রাখতে হবে ভারী বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গেলেই, অপরজন আপনার উপর নেতিবাচক ধারণা পোষণ করতে পারবে।
তাই নোংর রাজনীতি, খারাপ আবহাওয়া নিয়ে কথা বলা যাবে না। অথবা এটা বলা যাবে না যে, সে এখনো সিঙ্গেল কেন? মনে রাখতে হবে, নিজেকে খুব রাশভারী ও জ্ঞানী প্রমাণ করতে যাওয়া সবচেয়ে বড় বোকামির কাজ।
এ ছাড়া ‘জীবনটা উপভোগের নয়, কিংবা জীবন সংগ্রামের কিংবা জীবনের অসন্তুষ্টির বিষয়গুলো উপস্থাপন’ এগুলো সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে। অতীতে ডেটের সঙ্গে বর্তমান ডেটের কোনো তুলনা, কিংবা যৌন সম্পর্কিত কোনো কথাবার্তা সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার জন্ম দেয়। তাই সম্পর্কে এ বিষয়গুলো অবশ্যই পালনীয়।
সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট
এমজে/