ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

কোটা সংস্কার আন্দোলন

মামলা প্রত্যাহারে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

প্রকাশিত : ০১:১৫ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৩:৪৫ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার

সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়ের করা ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেধে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এই সময়ের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার না হলে ফের আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম সাধারণ ছাত্র  অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংগঠনের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের যুগ্ম আহ্বাহক রাশেদ খান বলেন, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আন্দোলন প্রত্যাহার না করলে আমার প্রয়োজনে আবারও বড় আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।

তিনি বলেন, আমরা শুরু থেকে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছি। কিন্তু একটি মহল আমাদের কর্মসূচি নিয়ে বিতর্ক তৈরি করতে এবং আন্দোলনকে অন্যদিকে প্রভাবিত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা মেধাবীদের অধিকার আদায়ে  শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। আন্দোলনকারীরা ভিসির ভবনে হামলার সঙ্গে জড়িত না।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিষদের কমিটির চার নেতাকে নিয়ে দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত খবরের প্রতিবাদ জানান রাশেদ খান। তিনি বলেন, তিনিসহ চার নেতার ইসলামী ছাত্রশিবিরে জড়িত থাকা এবং ভিসির ভবনে ভাংচুরের খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন। এ ধরনের খবর প্রকাশের জন্য আজ সোমবার বিকাল ৫ টার মধ্যে ইত্তেফাকের  সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক ও প্রতিবেদককে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানান তিনি। নতুবা আগামীকাল থেকে সারাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজগুলোতে দৈনিক ইত্তেফাক বর্জন করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসান আল মামুন বলেন, আমার বাবা ১৯৬৯ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি ইউনিটের সভাপতি ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নিয়েছেন কিন্তু সনদ নেননি। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক সেটি ভালোভাবেই জানেন। শিবির সংশ্লিষ্ট কোনো পেইজে তার লাইক বা কমেন্টস নেই বলেও দাবি করেন তিনি। বলেন, আমি হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ছাত্রলীগের চলতি কমিটির সহ-সভাপতি।

আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেন, ২০০৬ সালের চর বিশ্বাস জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাত্রলীগ কমিটির দপ্তর সম্পাদক ছিলাম। ২০১৩ সালে সেপ্টেম্বর থেকে ঢাবি মুহসীন হল ছাত্রলীগের উপ-মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম। আমার বাবা ২০০৯ থেকে ১৪ পর্যন্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি বর্তমান চর বিশ্বাস  ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।

যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান বলেন, তিনি ঢাবি এসএম হল ছাত্রলীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেন।

যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, আমি একজন সাধারণ শিক্ষার্থী। আমি কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না । ফেইক আইডির মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।

/ এআর /