কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন নেতাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ
প্রকাশিত : ০২:২৩ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের তিন নেতাসহ ৫ জনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাহিদ হাসান শাওন আজ সোমবার দুপুরে এ অভিযোগ করেন।
নাহিদ একুশে টিভি অনলাইনে বলেন, আজ সোমবার বেলা ১১টা দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেবির সামনে এক সংবাদ সম্মেলন শেষে বাসায় ফেরার পথে চানখারপুল এলাকা থেকে সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, রাশেদ খান ও নুরুল হক নুরকে তুলে নেওয়া হয় বলে জানান নাহিদ।
শাওন বলেন, সংবাদ সম্মেলন শেষ করে ৫ জন বাসায় যাচ্ছিলেন। এমন সময় কে বা কারা তাদের তুলে নিয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, আমি এ মূহুর্তে কে বা কারা তুলে নিয়ে গেছে সেটা বলতে পারবো না। আজ ৫ টার পর কেন্দ্রীয় কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। সেখানে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
শাওন হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমার ভাইদের কিছু হলে আবার সারাদেশে আগুন জ্বলবে।
অভিযোগের পরপরই এ প্রতিবেদকের মুঠোফোন থেকে পরিষদের ওই তিন নেতার মুঠোফোনে কল করা হয়। যুগ্ম আহবায়ক রাশেদের মুঠোফোনে বারবার ফোন করা হলেও ফোন রিসিভ হচ্ছে না। অপর দু’জনের (ফারুক ও নূর) ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পরিষদের আহবায়ক হাসান আল মামুন একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, ক্যাম্পাস সংলগ্ন চানখানপুর এলাকা থেকে পরিষদের তিন যুগ্ম আহবায়কসহ ৫ জনকে তুলে নেওয়া হয়। তিনি জানান, ডিবি রমনা জোনের পরিচয় দিয়ে তাদেরকে তুলে নেওয়া হয়। বাকী দু’জনের পরিচয় জানা যায় নি। হাসান আল মামুন জানান, সংবাদ সম্মেলনের সময় ক্যাম্পাসে বিশেষ করে হাকিম চত্বরে ডিবি পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে তিনি সরে পরেন। অন্যদেরকেও যার যার মতো করে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার কথা বলেন। এমতাবস্থায় বাসায় ফেরার পথে রাশেদ, নূর ও ফারুককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে রমনা থানার ওসির মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। বারবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
/এআর /