ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

প্রাঙ্গণে মোর মঞ্চে ভাসাবে হাছন রাজার নাও!   

প্রকাশিত : ০৭:২১ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ১২:১৯ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০১৮ শনিবার

বাংলাদেশের প্রথম সারির নাট্যদল প্রাঙ্গণেমোর এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, রামপাশা, লক্ষন শ্রী আর সিলেটের একাংশ নিয়ে পাঁচ লাখ বিঘার বিশাল অঞ্চলের জমিদার ও মরমী গীতিকবি হাছন রাজাকে নিয়ে নাটক ‘হাছনজানের রাজা’। যেখানে উঠে আসবে হাছন রাজার নৌকাজীবন!

শাকুর মজিদের লেখা ও অনন্ত হিরার নির্দেশনায় নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হবে ২০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে। এছাড়া ২১ এপ্রিল একই সময় পরীক্ষণ থিয়েটার হলে নাটকটির ২য় মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হবে।    

এর আগে জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে ১৬ এপ্রিল নাটকটির একটি কারিগরি মঞ্চায়ন হয় এবং ১৯ এপ্রিল আরও একটি কারিগরি মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হবে।

‘হাছনজানের রাজা’ নাটকটি প্রাঙ্গণেমোরের ১৩তম প্রযোজনা। এ নাটকের মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন ফয়েজ জহির, সংগীত পরামর্শক সেলিম চৌধুরী, সংগীত পরিকল্পনায় রামিজ রাজু, আলোক পরামর্শক ঠান্ডু রায়হান, আলোক পরিকল্পনায় তৌফিক আজীম রবিন এবং পোশাক পরিকল্পনা করেছেন নূনা আফরোজ।

‘হাজনজানের রাজা’ নাটকটিতে অভিনয় করেছেন রামিজ রাজু, আউয়াল রেজা, মাইনুল তাওহীদ, সাগর রায়, শুভেচ্ছা রহমান, সবুক্তগীন শুভ, জুয়েল রানা, আশা, প্রকৃতি, প্রীতি, সুজয়, নীরু, সুমন, বাঁধন ও রুমা।

নাটকটির প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে নির্দেশক অনন্ত হিরা জানান, হাছন রাজা (১৮৫৪-১৯২২) বর্তমান সুনামগঞ্জ জেলার একজন সামন্তপ্রভু ছিলেন। পিতা ও মাতা উভয়ের কাছ থেকে পাওয়া বিশাল জমিদারীর মালিকানা চলে আসে কিশোর বয়সে। অর্থ, বেহিসাবি সম্পদ আর ক্ষমতার দাপটে বেপরোয়া জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। জাগতিক লোভ লালসা, ক্ষমতায়ন, জবরদখল করে তিনি তার প্রতিপত্তি বাড়ানোর কাজে প্রবৃত্ত ছিলেন। কিন্তু এক সময় তার ভেতরের ভ্রান্তি ঘুচে যায়। মধ্য পঞ্চাশে এসে তিনি ভিন্ন এক মানুষে পরিণত হয়ে যান। তার বোধ হয় যে, এ জগত সংসারের সব অনাচারের মূলে আছে অতিরিক্ত সম্পদ। কিছু দিনের জন্য অতিথি হয়ে আসা মানুষেরা আসলে মহা শক্তির কাছে একেবারে নশ্বর।

এই বোধ থেকে তিনি তার সম্পদ জনকল্যাণের জন্য উইল করে দিয়ে কয়েকজন সঙ্গিনীকে নিয়ে নৌকায় করে হাওরে হাওরে ভাসতে থাকেন। আর এর মধ্যে খুঁজতে থাকেন সেই মহা পরাক্রমশীল সর্বশ্রেষ্ঠকে। সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজতে খুঁজতে এক সময় আবিষ্কার করেন, নিজের মধ্যেই তার বাস। তার যে পিয়ারীকে সবাই হাছনজান বলে জানে, সেই আসলে হাছন রাজা। জগতের মানুষের কাছে যিনি রাজা বলে চিহ্নিত ছিলেন, হাছন রাজার কাছে সে কেউ নয়, বরং পিয়ারী হাছনজানের ভেতরেই প্রকৃত হাছন রাজা বিরাজমান ছিলেন।

এসি